ইসরায়েলি বাধায় আসে না নির্মাণসামগ্রী, ধ্বং'সাবশেষই ভরসা ফিলিস্তিনিদের
অধিকৃত জেরুজালেমের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলার মাস পার হওয়ার পর আবারও নিজেদের বাড়িঘর গড়ে তোলার কাজ শুরু করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কিন্তু বর্বর ইসরায়েল উপত্যকাটিতে যেকোনো ধরণের নির্মাণসামগ্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের মিসাইল ও আর্টিলারি শেলে গুড়িয়ে যাওয়া বাড়িঘর পুনর্নির্মাণে ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের।
কিন্তু দমে যাওয়ার পাত্র নয় ফিলিস্তিনিরা। তাই ধ্বংসস্তূপ থেকেই নির্মাণসামগ্রী জোগাড় করা শুরু হয়েছে সেখানে। গুড়িয়ে যাওয়া বাড়ি-ঘরের ধ্বংসাবশেষ দিয়েই নতুন বাড়ি-ঘর নির্মাণের সামগ্রী যোগাচ্ছে গাজার বাসিন্দারা।
বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহর গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েল ১১ দিন ধরে তাণ্ডব চালিয়ে ৬৬ শিশুসহ ২৫৬ জন নিরীহ ফিলিস্তিনিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ইসরায়েলের বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তুই ছিল বেসামরিক ও আবাসিক ভবন।
গাজার গণপূর্ত ও আবাসন মন্ত্রণালয় জানায়, ১১ দিন ধরে ইসরায়েলি হামলায় দু’হাজারের বেশি বাড়ি গুড়িয়ে যায়। ২২ হাজারেরও বেশি আবাসিক ভবন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তচ্যুত হয়। এ ছাড়াও চারটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবন, ৭৪টি জনগুরুত্বপূর্ণ ভবনসহ মন্ত্রণালয়ও গুড়িয়ে দেয় ইহুদি সন্ত্রাসীরা।
গাজার গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা নাজি সারহান জানান, ইসরায়েলি হামলায় কম করে হলেও ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘর-বাড়ি গুড়িয়ে যাওয়ায় প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টন ধ্বংসাবশেষ বা রাবিশ জমা হয়েছে। সেসব থেকেই পুনরায় ব্যবহারযোগ্য নির্মাণসামগ্রী সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে। কেননা ইসরায়েলে কোনোপ্রকার নির্মাণসামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছে না এই উপত্যকায়।
সূত্র : আলজাজিরা
টিএস
মন্তব্য করুন