কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিলো ২০টি প্রশিক্ষিত ইঁদুর

খাদ্যশষ্য নষ্ট থেকে শুরু করে রোগ ছড়ানো ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইঁদুরের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু সেই ইঁদুরই যদি জীবন রক্ষাকারী হিসেবে সামরিক বাহিনীর সদস্য হয় তবে অবাক হবে যে কেউই।

অবাক করার মতো খবর হলেও এমনটাই হয়েছে কম্বোডিয়ায়। দেশটির সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ২০টি ইঁদুর। আফ্রিকার তানজানিয়া থেকে আনা বিশেষ ধরণের এই ইঁদুরগুলোকে প্রশিক্ষণ দেয়ার পর সম্প্রতি নিয়োগ দেওয়া হয়।

• আরও পড়ুন... আবারও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন পরীমণি

কিন্তু কেন এই ইঁদুর নিয়োগ? সামরিক বাহিনীতে কিই বা কাজ তাদের? মূলত, গত শতকে গৃহযুদ্ধ চলার সময় কম্বোডিয়ায় বিপুল পরিমাণ স্থল মাইন পুঁতে রাখা হয়। ১৯৭৯ সাল থেকে দেশটির স্থল মাইন বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।

আমদানি করা এসব ইঁদুরের ঘ্রাণ শক্তি তীব্র হওয়ায় সহজেই মাইন শনাক্ত করতে পারে। এ পদ্ধতিতে সাফল্য আসায় ২০১৬ সাল থেকেই স্থল মাইন অপসারণে ইঁদুর ব্যবহার করছে কম্বোডিয়া।

সম্প্রতি স্বর্ণপদকজয়ী মাগাওয়াসহ বেশ কয়েকটি ইঁদুরকে অবসরে পাঠানোর পরই আরও ২০টি ইঁদুরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

কম্বোডিয়ায় নতুন পুরনো মিলিয়ে মোট ৪৮টি ইদুর স্থলমাইন খোঁজার কাজ করছে। এদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তানজানিয়ার অ্যাপোপো নামের একটি সংগঠন।

• আরও পড়ুন... মুসলিম আইন মেনে আসমাকে বিয়ে করেন এএসআই সৌমেন

ইঁদুরের তদারককারি মালেন বলেন, কাজ শুরুর আগে আমরা বুঝতে পারিনি স্থলমাইন খোঁজার কাজটা ওরা এতো ভালোভাবে করতে পারবে। ইঁদুরের অসাধারণ ঘাণশক্তি আছে যা আমাদের নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওরা সঠিক ইঙ্গিত দেয়।

আর এভাবেই সামরিক বাহিনীর অংশ হয়ে ত্রাতার ভূমিকায় অংশ নিয়েছে একদল ইঁদুর। সূত্র : ডয়চে ভেলে

টিএস