দেনার টাকা দিতে না পেরে দুই বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে ধ'র্ষণ করালো স্বামী
করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের মাঝে প্রায় পুরোটা সময়ই বেকার ছিলেন। সংসার চালাতে তাই দুই বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার করেছিলেন মধুসূদন নামের ওই ব্যক্তি। কিন্তু কাজ না থাকায় সেই টাকা শোধ করতে পারেননি। এরপরই দেনা থেকে মুক্তি পেতে দুই বন্ধুকেই অনুমতি দেয় নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণ করার! খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের তামিলনাডুর এলআর পালায়াম গ্রামে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, মধুসূদনের সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে হয় ২১ বছরের পার্বতীর। মদপানে আসক্ত মধুসূদন তেমন কিছুই করতো না। তবু কোনোভাবে চলছিল সংসার। কিন্তু লকডাউনের ধাক্কায় সেই কাজও বন্ধ হয়ে যায়।
তাই বাধ্য হয়ে দুই বন্ধু সুন্দরমূর্তি ও মণিকন্দনের কাছ থেকে দেনা করে সংসার চালাচ্ছিল মধুসূদন। এরপর তারা টাকা ফেরত চাইলে পার্বতীকে ধর্ষণের ঘৃণ্য প্রস্তাব দেয় মধুসূদন। পুলিশ জানিয়েছে, এরপর স্ত্রীকে ভিটামিন ট্যাবলেটের নামে একটি ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় সে। ওষুধ খেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে পার্বতীর ওপর চড়াও হয় ওই দুজন।
এ ঘটনার পর তাদের ২ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায় পার্বতী। কিন্তু মধুসূদন সেখানে এসেও পার্বতীকে জোর করতে থাকে। পরে গত সোমবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন পার্বতী। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মধুসূদন ও তার দুই বন্ধুকে।
পুলিশ জানায়, এর আগেও মদ্যপ অবস্থায় একবার তার আরেক বন্ধুকে বাসায় নিয়ে এসেছিল মধুসূদন। সেই সময়ও তার সেই বন্ধুটিতে তার ঘুমন্ত স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অনুমতি দিয়েছিল সে। যদিও তখন ঘুম ভেঙে পার্বতী চিৎকার করে ওঠায় পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি।
এ
মন্তব্য করুন