গরুর মাংস বিক্রি করলে বা খেলে ৭ বছরের কারাদণ্ড
ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের জয় জয়কার। ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের প্রত্যক্ষ মদদে যা খুশি তাই করে যাচ্ছে উগ্রবাদী হিন্দুরা। এবার শান্তিপূর্ণ লাক্ষাদ্বীপও তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দ্বীপটিতে নিজেদের পুরো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চাইছে মোদি সরকার। সঙ্গে হিন্দুত্ববাদের ঝাণ্ডাও গাড়তে চাইছে তারা। খবর দ্য প্রিন্টের।
আরও পড়ুন...মঙ্গলবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
এ লক্ষ্যে সম্প্রতি দ্বীপটিতে নতুন একজন প্রশাসক নিয়োগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন প্রশাসক প্রফুল খুদা পাটেল লাক্ষাদ্বীপের রাজনৈতিক অঙ্গনে রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছেন। ক্ষমতায় বসেই বেশ কিছু আইন এনেছেন। এগুলো হচ্ছে গোহত্যা নিষিদ্ধ, সমাজ বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং ভূমি সংক্রান্ত আইন। নতুন এই আইনে গরুর মাংস বিক্রি করলে বা খেলে অন্তত ৭ বছরের জেল হতে পারে। এরপরই মূলত বিক্ষোভের ঢেউ উঠেছে শান্তির এই দ্বীপে।
আরব সাগরে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জ এতদিন ধরে শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসেবেই পরিচিত ছিল। প্রফুল গুজরাটে মোদি সরকারের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। গত ডিসেম্বরে তাকে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়া হয়। এই দ্বীপপুঞ্জ ছাড়াও কেন্দ্রীয় অঞ্চল দাদরা এবং নগর হাভেলী এবং দামান ও দিউয়েরও প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন...স্বাস্থ্যবিধি মেনে হবে এসএসসি পরীক্ষা: শিক্ষাবোর্ড
লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক হিসেবে সাধারণ একজন আইএএস বা অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসারকে দেয়া হয়। যেমন প্রফুলের আগে দায়িত্বে থাকা প্রশাসক দীনেশ্বর শর্মা ইন্টিলিজেন্স ব্যুরোর সাবেক পরিচালক ছিলেন। গত ডিসেম্বরে তার মৃত্যুর পর প্রফুলকে এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রফুলের সিদ্ধান্তের পর জানুয়ারি থেকেই লাক্ষাদ্বীপ উত্তপ্ত। তবে স্থানীয় বিজেপি নেতারা বলছেন, কংগ্রেস এবং সিপিআই (এম) ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।
এ
মন্তব্য করুন