মালয়েশিয়ায় মেট্রোরেল দু'র্ঘটনায় আ'হত দুই শতাধিক
মালয়েশিয়ায় মেট্রোরেল বা এলআরটি দুর্ঘটনায় দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কোনও বাংলাদেশি আছে কি না তা এখনও জানা যায়নি। সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে রাজধানী কুয়ালালামপুরের কেএলসিসি বা টুইন টাওয়ার ও কাম্পুং বারু স্টেশনের মাঝামাঝি মাটির নিচে ট্রেন লাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের পার্শ্ববর্তী কুয়ালালামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ডাং ওয়াংগি থানার সহকারি পুলিশ কমিশনার জয়নাল আব্দুল্লাহ জানান, রেল লাইন পরীক্ষা করার জন্য একটি খালি ট্রেনের সঙ্গে কেলানা জায়া লাইনের একটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় যাত্রীবাহী ওই ট্রেনে ২১৩ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনায় ৪৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে এবং ১৬৬ জন সামান্য আহত হয়েছে। তবে কেউই মারা যায়নি এবং কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
পরে মালয়েশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী উই কা সিয়োং স্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। একটি ট্রেন যাত্রীবাহী ছিল। আরেকটি খালি ট্রেন ছিল। সেটি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছিল। উই জানান, ওই দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটিতে ২৩২ জন ছিল।
তিনি বলেন, ৪৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আর বাকি ১৬৬ জন সামান্য আহত হয়েছে। গুরুতর আহত হওয়া ৪৭ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। যারা সামান্য আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসায় ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিকেল কর্মীরা পৌঁছেছেন বলেও জানান উই।
এদিকে দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় ট্রেনের মধ্যে অনেকেই রক্তমাখা শরীরে পড়ে আছেন, আর্তনাদ করছেন। অবশ্য দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। তবে দুর্ঘটনাটি মাটির নিচে সংঘটিত হওয়ায় উদ্ধার কাজে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে বলে উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
অন্যদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন। একই সঙ্গে আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সবার চিকিৎসা ব্যয় বহনের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে র্যাপিড কেএল’র পক্ষ থেকে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সাল থেকে এই লাইনে ট্রেন চলাচল করে আসছে।
এ
মন্তব্য করুন