• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দীর্ঘসময় ধরে কাজ করার ফলে মৃত্যু হচ্ছে লাখো মানুষের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ১৮ মে ২০২১, ১২:১৯
দীর্ঘসময় ধরে কাজের ফলে মৃত্যু হচ্ছে লাখো মানুষের
সংগৃহীত ছবি

বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার ফলে লাখো মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আর বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে এই মৃত্যুহার আরো বেড়ে যেতে পারে বলে সোমবার জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

প্রথমবারের মতো অধিক কর্মঘণ্টার সঙ্গে মৃত্যুঝুঁকি সম্পর্কিত একটি বৈশ্বিক গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ নামক জার্নালে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে দীর্ঘ সময় কাজের ফলে স্ট্রোক ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০০০ সালের তুলনায় এই সংখ্যাটা ৩০ শতাংশ বেশি।

ডব্লিউএইচও-এর পরিবেশ, জলবায়ু ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক মারিয়া নিরা বলেন, প্রতি সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করলে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়। আমরা এই তথ্য বেশি বেশি প্রচার করতে চাই যেন কর্মজীবী মানুষেরা নিজেদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিয়ে ভাবে।

ডব্লিউএইচও ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে করা এই গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মৃত্যুর শিকার হওয়া মানুষদের মধ্যে ৭২ শতাংশ ছিলেন মধ্যবয়স্ক বা ততোধিক বয়স্ক পুরুষ। বেশিরভাগ সময়েই কাজের সময়ে তাৎক্ষণিকভাবে নয়, বরং এক দশক বা তারও পরে গিয়ে তাদের মৃত্যু ঘটেছে।

গবেষণায় আরো দেখানো হয়, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং পশ্চিম প্রশান্ত অঞ্চলে (ডব্লিউএইচও চিহ্নিত অঞ্চল যা চীন, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সমন্বয়ে গঠিত) বসবাসকারী মানুষেরা এই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।

গবেষণাটিতে সব মিলিয়ে ১৯৪টি দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ বেড়ে যায় এবং রক্তস্বল্পতাজনিত হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ে ১৭ শতাংশ।

যেহেতু গবেষণায় ২০০০-২০১৬ সাল পর্যন্ত হিসাব করা হয়েছে, তাই কোভিড-১৯ মহামারি এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। কিন্তু ডব্লিউএইচও-এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহামারির ফলে দূরবর্তী স্থানে থেকে কাজ করা এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি ধীর হয়ে যাওয়ায় এই ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে। সূত্র : রয়টার্স

টিএস/পি

আরটিভি’র সর্বশেষ নিউজ পেতে ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন...

https://www.facebook.com/rtvnews247

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh