ইহুদিদের বিরুদ্ধে শুরু হয়ে গেছে বিশেষ অভিযান, চিন্তায় ইসরায়েল
অবৈধভাবে ভূমি দখলে নিতে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গত ৫ দিন ধরে বর্বর হামলা চালাচ্ছে গাজায়। সে হামলায় নিরীহ বেসামরিক মুসল্লিদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে ফিলিস্তিন। তবে খুনি ইসরায়েলি বাহিনীর এমন বর্বরতার প্রতিরোধ জানাচ্ছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
তারই অংশ হিসেবে চার দিন আগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘সোর্ড অব কুদস’ নামে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে। যদিও ইসরাইল ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে বহু ফিলিস্তিনিকে হত্যা এবং অবকাঠামো ধ্বংস করছে। কিন্তু এ যুদ্ধ ইসরায়েলের জন্যও খুব খারাপ পরিণতি ডেকে আনবে। এটাকে ইসরায়েলের জন্য বিপদসংকেত হিসেবে দেখছেন অনেকে।
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা প্রথম দফা হামলায় গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে বহু রকেট ছুঁড়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার ফিলিস্তিনিরা ১৫০০টির বেশি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করেছে। যা ভাবাচ্ছে ইহুদিদের।
হামাসের মুখপাত্র আবু আবিদি ইসরায়েলের রামুন বিমানবন্দরে মধ্যম পাল্লার আইয়াশ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার কথা জানিয়ে বলেছেন, এটির পাল্লা ২৫০ কিলোমিটার এবং এর ব্যাপক ধ্বংস ক্ষমতা রয়েছে। হামাস দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, হামাস মুখপাত্রের এ বক্তব্য থেকে বোঝা যায় তাদের প্রচুর সংখ্যক রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ রয়েছে। তা নিয়েও উদ্বিগ্ন ইসরায়েল।
এদিকে হামাসের হামলায় এরই মধ্যে ইসরায়েলের ৮ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে অনেকে। বহু মানুষ মাটির নিচে আশ্রয় শিবিরে গা ঢাকা দিয়ে আছে। বোঝাই যাচ্ছে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা আয়রন ডোম ফিলিস্তিনিদের সব রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পারছে না। এ নিয়েও সংশয়ে পড়েছে ইসরায়েল।
অন্যদিকে অতীত যুদ্ধ কৌশলের তুলনায় এবার ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা আরো বেশি শক্তিমত্ত্বা দেখাচ্ছে। ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ বিমান বন্দরগুলোতে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো থেকে বোঝা যায় ফিলিস্তিনিরা এখন আর আগের মতো দুর্বল নয়। হামলায় বেন গুরিয়ান ও রামুন বিমান বন্দরের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েল। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
টিএস/পি
মন্তব্য করুন