শিকলে বেঁধে খাঁচায় বন্দি করে রেখেছিল বাবা, অনাহারে শিশুর মৃত্যু
নির্মম নির্যাতনের পর ছয় বছরের এক শিশুকে না খেতে পেয়ে মারা গেছে। ওই শিশুর বাবা তার মেয়েকে শিকলে বেঁধে খাঁচায় বন্দি করে রাখার পর অনাহারে তার মৃত্যু হয়। শিশুটির নাম নাহলা আল-ওসমান। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
সিরিয়ার ইদলিবের ফারাজ আল্লাহ ক্যাম্পে হেপাটাইটিস, অনাহার এবং তৃষ্ণায় নাহলার মৃত্যু হয়। নাহলাকে শিকলে বেঁধে খাঁচা বন্দি করে রাখার আগে তাকে পিটিয়েও ছিল তার বাবা। তারপর তাকে খাবার না দিয়ে সেখানে রেখে দেয়া হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নাহলার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরই মানুষজন ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে। তারা নাহলার বাবার শাস্তি দাবি করেছে।
নাহলার ছবি প্রকাশ করা সাংবাদিক ইব্রাহিম তিরেসি বলেন, নাহলার মাকে ডিভোর্স দেন তার বাবা। পরে আরেকজন নারীকে বিয়ে করেন তিনি। তিনি নাহলাকে খাঁচায় বন্দি করে রেখেছিলেন কারণ সে খুব চঞ্চল ছিল।
ইব্রাহিম বলেন, অপর্যাপ্ত খাদ্য ও পানি খেয়েও কয়েক মাস বেঁচে ছিল নাহলা। শিকলে বাঁধা অবস্থাতেই ক্যাম্পে ঘুরে বেড়াতো নাহলা। ওই খাঁচা তার স্থায়ী ঘর হয়ে যায়। অপুষ্টি, তৃষ্ণা, হেপাটাইটিস এবং অন্যান্য রোগে যন্ত্রণা ভোগ করে বৃহস্পতিবার নাহলা মারা যায়।
সব কিছু দেখার পরও কিছু না করায় ক্যাম্পের সবার দিকে আঙুল তুলেছেন একজন টুইটার ব্যবহারকারী। আরেকজন লিখেন, ওই শিশু মারা যাওয়ার আগে মানবিকতা মারা গেছে। আরেকজন এটিকে ‘একটি অবর্ণনীয় অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
-
আরও পড়ুন... নিজের যৌনজীবন নিয়ে মুখ খুললেন দীপিকা
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বিরোধী এক বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই বিক্ষোভ দমনে আসাদ সরকার কঠোর ব্যবস্থার নেয়ার মধ্য দিয়ে দেশটিতে যে সংঘাতের সূচনা হয় সেটিই পরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এই সংঘাত এখনও চলছে।
এ
মন্তব্য করুন