করোনা আক্রান্ত মাকে বাঁচাতে মুখে মুখ চেপে অক্সিজেন দেয়ার শেষ চেষ্টা দুই বোনের
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল ভারত। প্রতিদিন মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। হাসপাতালে বেড নেই। নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেনও। হাহাকার চারিদিকে। অসহায় মানুষের আর্তি শোনা যাচ্ছে। শ্মশানে জায়গা নেই। কবরস্থানেও জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। এমন হৃদয় বিদারক নানা গণমাধ্যমে ভেসে আসছে।
উত্তরপ্রদেশের বাহারিক জেলায় তেমনই এক মর্মান্তিক চিত্র সামনে এসেছে। সেখানকার একটি সরকারি হাসপাতালে দেখা যায়, স্ট্রেচারে প্রায় নিস্তেজ হয়ে পড়ে রয়েছেন এক নারী। তার অক্সিজেন লেভেল দ্রুত কমে আসছে। কিন্তু বহু চেষ্টার পরও তার জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারেনি পরিবারের লোকজন।
তাই উপায় না দেখে কোভিড আক্রান্ত মৃত্যু পথযাত্রীকে মাকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করছে দুই মেয়ে। মায়ের মুখে নিজেদের মুখ রেখে অক্সিজেন ভাগ করে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। অনেক সময় শ্বাসকষ্টে ভোগে এসর রোগীকে এভাবে মুখের মধ্যে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়ে থাকে।
এমন মর্মান্তিক এই দৃশ্য ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। যদিও উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার বারবার দাবি করেছে যে সেখানে অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই। এরপর এমন দৃশ্য প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে প্রশাসন।
তবে বাহারিক জেলার সরকারি ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার আথিসাম আলি বলেন, ওই নারী অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক ছিল। চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করতে করতেই তিনি মারা যান।
মহারাজ ডা. একে সাহানি বলেন, যখন ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখনই তার অবস্থা ভালো ছিল না। সেটা তার পরিবারের লোকজনও মেনে নিয়েছিল। তবে ওই নারীর দুই মেয়ে আবেগপ্রবণ হয়েই মুখ দিয়ে অক্সিজেন দিয়ে মাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই।
এর আগে রাজ্যের আগ্রায় প্রায় এমনই এক দৃশ্য ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে অক্সিজেন না পেয়ে, হাসপাতালে বেড না পেয়ে, অটোয় বসেই এক নারী তার স্বামীকে মুখে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। অবশ্য স্বামীকে বাঁচাতে পারেনি স্ত্রী।
এ
মন্তব্য করুন