• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

অভিশপ্ত যে চেয়ারে বসে মারা গেছেন অনেকে 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ০৩ মে ২০২১, ০৯:০৮
Chair of Death, অভিশপ্ত যে চেয়ারে বসে মারা গেছেন অনেকে 
সংগৃহীত ছবি

চেয়ার বা আরামকেদারা। দু’দণ্ড আরাম করে বসার জন্য সবাই-ই চায় চারপেয়ে এই বস্তুটি। কিন্তু সেই আরাম যদি হয়ে ওঠে মৃত্যুর কারণ তবে কেউই চাইবে না চেয়ারে বসতে।

শুনতে অবাক লাগলেও পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে কুখ্যাত হিসেব পরিচিত একটি চেয়ার আছে। যেটি আপনি দেখতে পাবেন ইংল্যান্ডের উত্তর ইয়র্কশায়ারের বাসবি স্টুপ ইন নামে এক সরাইখানায়।

কেবল এই চেয়ারটির কারণেই জায়গাটি সমগ্র ইংল্যান্ডের মানুষের কাছে এক রহস্যময় স্থান হিসেবে বিশেষ পরিচিত হয়েছে। অবশ্য চেয়ারটির যে খারাপ ইতিহাস তার সঙ্গে এই সরাইখানাটির যোগ রয়েছে।

১৬৬৯ অথবা ১৭০২ সালে ইংল্যান্ডে থমাস বাসবি নামে একজন অপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। দণ্ডাদেশ কার্যকর করার আগে তার শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন তার পানশালাতে গিয়ে নিজের প্রিয় চেয়ারে বসে জীবনের শেষ খাবার খেতে চান।

খাবার শেষ করে চেয়ারটি ছেড়ে উঠে সে চেঁচাতে থাকে যে এই চেয়ারে কেউ বসলেই সে হঠাৎ করেই মারা যাবে। এরপর বাসবির শ্বশুর ওই চেয়ারটিতে বসলে মারা যান তিনিও।

২০০ বছর পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে একজন বৈমানিক সেই পানশালার ওই চেয়ারে এসে বসেন। সেই দিন তিনি মারা না গেলেও শোনা যায় যে আর যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেননি।

এরপর আরো কয়েকজন সৈন্যই সেই চেয়ারে বসেন ও সবার পরিণতিই হয় মৃত্যু। বিমান বাহিনীর দুইজন পাইলট ওই চেয়ারে বসেন ও তারা এক ট্রাক দুর্ঘটনার মুখে পড়েন।

কেউ কেউ বলেন যে শুধু যে চেয়ারটি ভুতুড়ে তা নয় অনেকেই থমাসকে ঘুরে বেড়াতে দেখেছে। ১৯৭২ সালে অভিশপ্ত এই চেয়ারটি স্থানীয় জাদুঘরে জমা দিয়ে দেওয়া হয়।

পানশালার মালিক নিজেও এতে ভয় পেয়ে যান। তিনি থার্স্ক মিউজিয়ামে এ চেয়ারটি দিয়ে দেন। এখন সেখানেও চেয়ারটি দেয়ালের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা আছে যেন কেউ সেটাতে বসতে না পারে।

এতসব অপঘাতে মৃত্যু দেখে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষও ‘বাসবির অভিশাপ’ নামের কুসংস্কারটি বিশ্বাস করেছিল।

টিএস/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh