‘এটা বাংলার জয়, সকলে বাড়ি যান’
প্রতিবেশী ভারতের বিধানসভা নির্বাচনে জয় নিয়েই ফিরলেন ‘বাংলার নিজের মেয়ে’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার। নিজ আসনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলেও শেষমেশ জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন মমতা-ই। আর তাই নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে কালীঘাটে। মমতার বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা।
তা দেখে কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মমতা বলেন, এটা বাংলার জয়, বাঙালির জয়। কিন্তু উচ্ছ্বাস যেন বাঁধভাঙা না হয়। কোভিড চলছে এখনও কোভিডের মোকাবিলা করাই প্রধান। এখনই বিজয় মিছিল নয়। সকলে বাড়ি যান। অভিনন্দন আপনাদের সকলকে।
-
আরও পড়ুন ... হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে নন্দীগ্রামে জিতে গেলেন মমতা
ভোটবাক্সে যে ফলাফল ধরা পড়েছে, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। তবে তাতে বাঁধ মানছে না উচ্ছ্বাস। রাস্তার উপরই আবির খেলা শুরু হয়েছে। ঢাক ঢোল বাজিয়ে জয়ধ্বনি শোনা যাচ্ছে দলের নামে।
তৃতীয়বার বাংলার ক্ষমতায় দিদিকে বসানোর আনন্দে গা ভাসিয়েছে তৃণমূল দলের সমর্থকরা। কিন্তু এই বাঁধ ভাঙা উচ্ছাসের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে করোনা বিধি। মাস্ক নেই, দূরত্ব বিধি তো নেই। চলছে আবির খেলা, খেলা হবে গান চালিয়ে নাচ, রসগোল্লা খাওয়ানো চলছে।
কোভিড পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে বিশেষ সতর্কতা জারি রয়েছে কলকাতা শহরে। তাই কালীঘাটে মমতার বাড়ির কাছাকাছি কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না।
সমর্থকদের ভিড় জমতে শুরু করলেও কালীঘাট রোডের সামনেই আটকে দেওয়া হয় সবাইকে। সেখানেই ঢাকঢোল বাজিয়ে উৎসবে শামিল হন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। সমস্বরে ‘জয় বাংলা’, ‘মমতা ব্যানার্জী’ ধ্বনি শোনা যায়।
-
আরও পড়ুন... পদোন্নতি পেলেন হারুন-অর-রশিদ
কিন্তু নেই সেই করোনা বিধি। ইলেকশন কমিশন বলেছিল যে বিজয় মিছিল যেন না করা হয়। এই প্রসঙ্গে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা সবাইকে বলব দ্রুত যেন বাড়ি চলে যাওয়া হয়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে মানুষের আবেগকে আটকে রাখা শক্ত। আমরা সেটা চেষ্টা করছি।
-
আরও পড়ুন... পরাজয়ের কারণ জানতে চাইলেন অমিত শাহ
ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেছিলেন, জিতলেও এই জয় আবেগের হবে না। এই জয় হবে দায়িত্বের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই চিত্র দেখা যাচ্ছে না।
টিএস
মন্তব্য করুন