মরাপন্ন দাদার জন্য অক্সিজেন সাহায্য চাওয়ায় যুবকের বিরুদ্ধে মামলা
কোনও অপরাধই করেননি তিনি তারপরও তার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস দায়ের করেছে পুলিশ। তার দোষ একটাই যে, দাদার জন্য টুইট করে অক্সিজেনের সাহায্য চেয়েছিলেন। এ ঘটনায় ওই তরুণের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস দায়ের করে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আমেঠি পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ শুনানি হচ্ছে না আনভীরের জামিন আবেদন
যদি কেউ রাজ্যে আতঙ্ক বা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে কয়েকদিন আগেই এমন নির্দেশনা জারি করেছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এরই ধারাবাহিকতায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলো পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যা শশাঙ্ক যাদব নামের এক ব্যক্তি টুইট করে অভিনেতা সনু সুদকে ট্যাগ করে অক্সিজেন সিলিন্ডার চান। কিন্তু তার টুইটে কোভিড-১৯ বা অন্য কোনেও রোগের নাম উল্লেখ করেননি শশাঙ্ক। পরে শশাঙ্কের এক বন্ধু অঙ্কিত সেটি রিটুইট করেন এবং একটি গণমাধ্যমের সিনিয়র এডিটরকেও সরাসরি মেসেজ পাঠান।
আরও পড়ুনঃ গ্রেনেড ভেবে পুলিশে ফোন, পরে জানা গেলো সেক্স টয়!
ওই সাংবাদিক অঙ্কিতের টুইটে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে ট্যাগ করে একটি টুইট করেন। কেননা ইরানি আমেঠির সাসংদ। ইরানিও দ্রুত সাড়া দেন এবং জানান যে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। পরে অঙ্কিত ওই সাংবাদিককে জানান যে, শশাঙ্কে দাদা মারা গেছে। ওই সাংবাদিক ইরানিকে জানান। এটা জেনে ইরানি সাহায্যের আশ্বাস দেন এবং শশাঙ্ককে সান্ত্বনাও দেন।
আরও পড়ুনঃ খাবারের লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বার পর জানাজানি
বিষয়টা এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু করোনার কারণে রাজ্যের পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। সবাই আতঙ্কে দিন গুনছে। এরমধ্যে অক্সিজেন চেয়ে টুইট করে অজান্তেই সেই টেনসন আরও বাড়িয়ে ফেলার অপরাধে অপরাধী হয়ে পড়লেন শশাঙ্ক।
শশাঙ্কের দাদা একটি বেসরকারি হাসপাতাসলে ভর্তি ছিলেন। তিনি হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। কিন্তু শশাঙ্ক বা ওই সাংবাদিক কেউই তাদের টুইটে কোভিডের কারণে এই অক্সিজেন সন্ধান এ কথা উল্লেখ করেননি। কিন্তু তবুও এই দুজনের বিরুদ্ধে সঙ্কটকালে রাজ্যের নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগ করে পুলিশ। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দোষী প্রমাণিত হলে শশাঙ্কের জেলও হতে পারে।
এ
মন্তব্য করুন