ব্লিচকে করোনার ওষুধ দাবি করে বিক্রি, যুক্তরাষ্ট্রে রাতারাতি কোটিপতি এক পরিবার
করোনাভাইরাস এবং অন্যান্য রোগের মহৌষধ দাবিক করে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক ব্যক্তি এবং তার তিন ছেলে মিলে হাজার হাজার বোতল ব্লিচ বিক্রি করেছে। এ ঘটনায় এই চারজনকে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত। খবর ইয়াহু নিউজের।
মার্ক গ্রেনন এবং তার তিন ছেলে জনাথন, জর্ডান এবং জোসেফ গ্রেননের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং সিভিল কোর্টের আদেশ অমান্যের অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত তাদের এই ভুয়া পানীয় বিক্রি করতে নিষেধ করেছিল। তারপরও তারা এটাকে ‘মিরাকল মিনারেল সলিউশন’ বা এমএমএস নামে বিক্রি করছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন প্রাণঘাতী এই মিশ্রণ না পান করতে মানুষজনকে সতর্ক করে দিয়েছে। সাধারণত শিল্প কারখানায় পানি ট্রিটমেন্টের জন্য ক্লোরিন ডাইঅক্সাইডের এই মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু মার্ক এবং তার ছেলেরা এটাই এমএমএস নাম দিয়ে বিক্রি করছিল।
আদালতের নথিতে দেখা গেছে, গত বছর মার্ক গ্রেননের একটি পডকাস্টে মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় সংবিধানের কথা উল্লেখ করা হয়। এমনকি এমএমএস’র বিক্রি বন্ধ করতে চাওয়ায় একজন ফেডারেল জজকে হুমকিও দেন মার্ক। এমনকি ওই বিচারক ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’ করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ওই পরিবার তাদের বাড়ির পেছনে ওই মিশ্রণ তৈরি করেছে। জেনেসিস সেকেন্ড চার্চ অব হেলথ অ্যান্ড হিলিং নামের নন-রিলিজিয়াস একটি চার্চের মাধ্যমে এই মিশ্রণটি বিক্রি করতো পরিবারটি। তারা দাবি করে যে, এই মিশ্রণ ক্যানসার, অটিজম, ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য ডিজঅর্ডার এবং রোগ সারাতে সক্ষম।
আর এই অবিশ্বাস্য পানীয় বিক্রি করে পরিবারটির আয় ব্যাপক বেড়ে যায়। যেখানে আগে এই পরিবারের গড় মাসিক আয় ৩২ হাজার ডলার ছিল। সেখানে ২০২০ সালের মার্চ থেকে এটাকে করোনার মহৌষধ বলে প্রচার করে বিক্রির ফলে তাদের আয় মাসে গড়ে ১ লাখ ২৩ হাজার হয়ে যায়।
এই মিশ্রণের ২৮ হাজারের বেশি বোতল বিক্রি করেছে পরিবারটি। এর মাধ্যমে ১০ লাখ ডলারের বেশি আয় করেছে তারা। পরে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কর্তৃপক্ষ অনেকগুলো কেমিক্যাল ভর্তি ড্রাম, ১০ হাজার পাউন্ড সোডিয়াম নাইট্রেট এবং হাজার হাজার ব্লিচের বোতল জব্দ করে।
এসময় মার্কের দুই ছেলে জনাথন এবং জর্ডানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের শিগগিরই আদালতে হাজির করা হবে। তবে মার্ক ও জোসেফ এখন কলম্বিয়ায় আছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু জানায়নি তারা।
এ
মন্তব্য করুন