• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রাচীন ডেড সি স্ক্রলের রহস্য উন্মোচন করলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

আন্তর্জাতিক নিউজ, আরটিভি নিউজ

  ২২ এপ্রিল ২০২১, ২১:২৪
AI unlocks ancient Dead Sea Scrolls mystery
সংগৃহীত ছবি

ডেড সি স্ক্রল বা প্রাচীন পাণ্ডুলিপি। দশকের পর দশক ধরে মরুর বুকে খোঁজ মেলে এসব ডেড সি স্ক্রলের। এসব প্রাচীন পান্ডুলিপি যেমন বিষ্ময়কর তেমনি দুর্বোধ্য। প্রতিনিয়িত গবেষণা চলছে এসব পাণ্ডুলিপি নিয়ে।

সে গবেষণার অংশ হিসেবেই নতুন এক খবর জানতে পারলেন গবেষকরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। জানা গেছে, বিশেষ ওই পাণ্ডুলিপি একই রকম হাতের লেখার অধিকারী দুজন ব্যক্তি লিখেছেন।

এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় লেখা যেটিকে বৃহত্তর ইসাইয়াহ স্ক্রল বলা হয় সেটির ওপরই এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান গবেষকরা।

নিরীক্ষায় দেখা গেছে যে, সম্ভবত দুজন ব্যক্তি যাদের হস্তাক্ষর একইরকম তারা এই শব্দগুলো অনুলিপি করেছিলেন।

অনেকদিন ধরেই এসব প্রাচীন পাণ্ডুলিপি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছে গবেষকরা। প্রায় ৭০ বছর আগে থেকে খোঁজ মিলতে শুরু করা এসব ডেড সি স্ক্রলের মধ্যে বাইবেলের প্রাচীনতম সংস্করণও রয়েছে।

প্রথমবার ডেড সি স্ক্রলের অংশ খুঁজে পায় এক বেদুইন। মৃত সাগরের পাশে কুমরানের গুহা থেকে সেই পাণ্ডুলিপি খুঁজে পায় সে। পশ্চীম তীরের সে জায়গাটি বর্তমানে দখলদার-খুনী ইসরায়েলের ইহুদিরা দখল করে রেখেছে।

এসব পাণ্ডলিপির অধিকাংশই হিব্রু, আরামাইক এবং গ্রীক ভাষায় রচিত। মনে করা হয় এগুলো খ্রিস্টের জন্মের তৃতীয় শতাব্দী আগের।

১৯৪০-৫০ এর দশকে খুঁজে পাওয়া ৯৫০ রকমের পাণ্ডুলিপির মধ্যে ইসাইয়াহ পাণ্ডুলিপি অন্যতম। অন্যান্য পাণ্ডুলিপির চেয়ে এটি অনন্য কারণ, এর ৫৪টি কলামে প্রায় অভিন্ন শৈলীতে লেখা, দু’ভাগে বিভক্ত।

নেদারল্যান্ডসের গ্রোনিঞ্জেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ‘কাটিং এজ’ পদ্ধতিতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইসাইয়াহ স্ক্রলটি পরীক্ষা করেন। তারা পাণ্ডলিপিটি থেকে একটি হিব্রু অক্ষর ‘আলেফ’ বিশ্লেষণ করেন। পুরো স্ক্রলটিতে পাঁচ হাজার বারেরও বেশি এই অক্ষরটির উল্লেখ আছে।

ম্লাদেন পপোভিচ, মারুফ ঢালী এবং ল্যামবার্ট শোমাকার নামক তিন গবেষক এক গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন যে তারা, ডিজিটাল ইমেজে রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে তারা প্রাচীন কালির চিহ্নগুলি খুঁজে বের করতে সফল হয়েছেন।

মূলত সেখান থেকেই দু’জন ব্যক্তির লেখার বিষয়টি সামনে এসেছে। একেক ব্যক্তির হাতের জোর একেকরকম। ফলে লিখতে গেলে কারো স্ট্রোক হুবহু মিলবে না। মেলেনি ওই পাণ্ডুলিপিতেও। আর সেটা ধরা পড়েছে ডিজিটাল ইমেজে। সূত্র : বিবিসি

টিএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh