গরিব বাংলাদেশিরা না খেতে পেয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করছে: অমিত শাহ
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, গরিব বাংলাদেশিরা না খেতে পেয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করছে। দেশটির আনন্দবাজার দৈনিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে এখন বিধানসভা নির্বাচন চলছে। সেখানে অনুপ্রবেশ একটা বড় ইস্যু। বিজেপিও যে এই ইস্যুটাকে বড় করে দেখে সেটা রাখঢাক না রেখেই পরিষ্কার করেছেন অমিত শাহ।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় সমস্যা অনুপ্রবেশ। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী রাজ্য। এটা উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সংযোগকারী রাজ্য। আবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি দেশের সঙ্গে আমাদের দেশের সংযোগকারী এলাকা। পশিচমবঙ্গে যেভাবে রাজনৈতিক কায়েমি স্বার্থের কারণে প্রথমে কমিউনিস্ট এবং পরে তৃণমূল অনুপ্রবেশকে মদত দিয়েছে, সেটা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রুখতে হবে।
অমিত শাহ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পুরো দেশের জন্য চিন্তার। আগামী ১০ বছর পর কলকাতার নাগরিকও অনুপ্রবেশ থেকে বাঁচতে পারবে না। এই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজেপি সরকার আসামে কি করেছে তারও একটা ফিরিস্তি দিয়েছেন অমিত শাহ। তার ভাষায়, এ কারণে সেখানে অনুপ্রবেশ ১০ শতাংশ কমে গেছে। এমনটা পশ্চিমবঙ্গেও করতে হবে। আর এটা বিজেপি ছাড়া আর কেউ করতে পারবে না বলে জানান তিনি।
গত ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশে আর্থিক উন্নয়ন হয়েছে। তাও কেন মানুষজন পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ করছে? আনন্দবাজারের এমন প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ বলেন, এর দুটো কারণ আছে। এক, বাংলাদেশের উন্নয়ন সীমান্ত এলাকায় প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছায়নি। যেকোনো পিছিয়ে-পড়া দেশে উন্নয়ন হতে শুরু করলে সেটা প্রথম কেন্দ্রে হয়। আর তার সুফল প্রথমে ধনীদের কাছে পৌঁছায়। গরিবদের কাছে নয়। এখন বাংলাদেশে সেই প্রক্রিয়া চলছে। ফলে গরিব মানুষ এখনও খেতে পাচ্ছে না। সে কারণেই অনুপ্রবেশ চলছে।
তিনি আরও বলেন, যারা অনুপ্রবেশকারী তারা যে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই থাকছে, তা নয়। তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। জম্মু-কাশ্মীর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আমি মনে করি এটা প্রশাসনিক সমস্যা। প্রশাসনিকভাবেই এর মোকাবিলা করতে হবে। সেটা পশ্চিমবঙ্গের সরকার করেনি।
এ
মন্তব্য করুন