হাসপাতাল থেকে নির্জন রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে স্বামীকে পুড়িয়ে মারলো স্ত্রী
দীর্ঘদিন ধরে দেনায় জর্জরিত। দেনা মেটাতে অনেক টাকার প্রয়োজন ছিল। আর সেই টাকা যোগাড় করতে গিয়ে স্বামীকে পুড়িয়ে হত্যা করলো তারই স্ত্রী। যাতে করে স্বামীর বিমার টাকা পাওয়া যায়। এমনই হাড়হিম করা ঘটনা ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ুর ইরোদ জেলায়।
পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে দেনা ছিল কে রঙ্গরাজের স্ত্রী যোথিমনির। এ কারণেই এক আত্মীয় সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। যেদিন রঙ্গরাজকে হত্যা করা হয় ওইদিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। যোথিমনি ও তার আত্মীয় রাজা রঙ্গরাজকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে থুডুপথি যায়।
পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা ভালাসুপলায়মের কাছে পৌঁছে যায়। সেখানে ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে অসুস্থ রঙ্গরাজকে টেনে বের করে আনে তারা। তারপর পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুজন মিলে। পরদিন সকালে পুলিশে খবর দেয় রাজা। দুর্ঘটনায় রঙ্গরাজের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় সে।
কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে রাজার বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। পুলিশ জানতে পারে, একটি পেট্রোল পাম্প থেকে একটি বিশেষ ক্যানে পেট্রোল কিনেছিল সে। তখন সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তারপরই পুলিশের জেরার সামনে সত্য স্বীকার করে নেয় রাজা।
পরে পুলিশ জানতে পারে প্রায় দেড় কোটি রুপি দেনা হয়েছে যোথিমনির। বিমার টাকা হাতিয়ে নেবার জন্য সে রাজার সঙ্গে পরামর্শ করে এই পরিকল্পনা করেছিল। রাজাকে ১ লাখ রুপি দেয়ার লোভও দেখিয়েছিল যোথিমনি।
এ
মন্তব্য করুন