হাজার বছর আগের রাজা-রানিরা মিশরের রাস্তায়
মিশরের রাজধানী কায়রোর রাজপথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে এক বিশাল শোভাযাত্রা। দুই পাশে প্রাচীন মিশরের রাজকীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী শ্রদ্ধা জানানোর জন্য হাজির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। সবাই রাজা রানির জন্য উপহার নিয়ে দাঁড়িয়ে। ঘোড়ায় টানা রথে আছে রাজকীয় পোশাক পরিহিত সেনা। যেন সদ্য মৃত কোনো মিশরীয় রাজা বা রানির শেষযাত্রার অনুষ্ঠান এটি।
আরও পড়ুনঃ সৌদির নতুন নির্দেশনা : উমরাহ করতে পারবেন যারা
আসলে হাজার বছর আগে মৃত মিশরের মোট ১৮ জন রাজা ও ৪ জন রানির মমিকে নিয়ে এই শোভাযাত্রা। তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৫ কিলোমিটার দূরে নির্মিত নতুন জাদুঘর ‘ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইজিপশিয়ান সিভিলাইজেশন’এ। মমিগুলোর নতুন ঠিকানায় পৌঁছে দিতেই এই শোভাযাত্রার আয়োজন।
রোববার (৪ এপ্রিল) গান স্যালুটের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর চলে আলো ও সঙ্গীতের খেলা। যেখানে অংশ নেন দেশটির তারকা শিল্পীরা। মমিগুলোকে নতুন জাদুঘরে আমন্ত্রণ জানাতে হাজির ছিলেন মিশরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিসহ সরকারির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুনঃ মামুনুল হককে নিয়ে স্ট্যাটাস, যুবলীগ নেতা পুলিশ হেফাজতে
এদিন কায়রোতে দেখা যায়, এক ঝাঁক সুন্দরী হেঁটে যাচ্ছে। প্রত্যেকের শরীরে প্রাচীন মিশরের রাজকীয় রমণীদের পোশাক। কারুকার্যময় রাজকীয় কফিন বহনকারী গাড়িটিও সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর সোনালী রঙের এসব রাজকীয় কফিনে শুয়ে আছেন হাজার বছর আগের মিশরীয় রাজা-রানিরা।
কায়রোর রাস্তায় এমনটা যে ঘটতে যাচ্ছে, তা হয়তো অনেকের বিশ্বাস করতে পারছিলো না। তবে মিশরবাসীরা ঠিকই এই দৃশ্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করলো। যদিও এতে খরচ হয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুনঃ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে
সব মমিকে ১৮৮১ সালে থেকে ১৮৯৮ সালের মধ্যে প্রাচীন মিশরের রাজধানী থিবস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আধুনিককালে এই জায়গাটি লাক্সর নামে পরিচিত। মিশরে এসব মমিকে বিবেচনা করা হয় জাতীয় সম্পদ হিসেবে। শোভাযাত্রায় এই সব রাজা রানির কাকে কোথায় রাখা হবে সেটা নির্ভর করবে তাদের শাসনকালের ওপর।
এমআই/ এমকে
মন্তব্য করুন