মিশর-ইসরায়েল সীমান্তে হচ্ছে দ্বিতীয় সুয়েজ খাল?
মিশরের সুয়েজ খালে সপ্তাহব্যাপী আটকে ছিল বিশাল মালবাহী জাহাজ এভার গিভেন। আর তার ফলে ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকা। এদিকে দিনকে দিন পণ্যবাহী জাহাজগুলো যেভাবে দৈত্যাকৃতির হয়ে উঠছে, তাতে আগামীতে নতুন আরেকটি সুয়েজ খাল নির্মাণের প্রয়োজন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতাও শুরু হয়ে গেছে। জানা গেছে, নতুন খালটি নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে মিশর ও ইসরায়েলের সীমান্ত বরাবর। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা এখন সে পরিকল্পনা যাচাই করে দেখছেন।
এর আগে তারা ইরাক ও সিরিয়ার মধ্যে দিয়ে নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ রুটের পরিকল্পনা নাকচ করে দেন।
তবে সুয়েজের মতো দ্বিতীয় আরেকটি খাল নির্মাণ তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। লাগবে কাড়ি কাড়ি টাকা। এরপরও দ্বিতীয় সুয়েজ খাল খননের প্রধান উৎসাহ হলো এভার গিভেনের সাম্প্রতিক ঘটনায় বিপুল আর্থিক ক্ষতি। মাত্র ছয় দিনে মিশর সরকার লাখ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে।
যদি কোনো কারণে সুয়েজ মাসব্যাপী বন্ধ থাতে তো পর্বত-প্রমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তা বলাই-বাহুল্য। পাশাপাশি, এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে জ্বালানি, খাদ্য, শিল্পজাত পণ্য ও কাঁচামালের সরবরাহ বিচ্ছেদের হুমকি তৈরি করে সাম্প্রতিক সুয়েজ সঙ্কট।
অথচ এই পথে টয়লেট পেপার থেকে শুরু করে আইফোন, পিপিই সবই রপ্তানি হয়। বাণিজ্যপথটির সচল গতির উপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষের জীবিকা।
আগেই সুড়ঙ্গ খননকারী আন্তর্জাতিক কোম্পানি ওএফপি ল্যারিওল'কে ‘সুয়েজ-২’ বা দ্বিতীয় খালের প্রকল্প সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দায়িত্ব দিয়েছিল জাতিসংঘ। কোম্পানিটি জানায়, পাঁচ বছরের মধ্যে এটি খনন করা যাবে। লোহিত সাগরের আকাবা উপসাগর থেকে সরাসরি ‘সুয়েজ-২’ খনন করা হবে।
দ্বিতীয় সুয়েজ খাল খননে যে কোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য সরকার। ‘ওই অঞ্চলের উন্নতি এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণের’ লক্ষ্যে নেওয়া যেকোনো প্রকল্পে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার ইচ্ছে আছে তাদের।
এছাড়া, নীল নদ থেকে লোহিত সাগর পর্যন্ত একদা প্রবাহিত প্রাচীন একটি নৌপথকেও পুনর্জীবিত করার আরেকটি প্রস্তাবনাও যাচাই করে দেখছেন জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা। দ্য গার্ডিয়ান
টিএস
মন্তব্য করুন