• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

৬ দিন ধরে পার্টি করে বেড়ালেন মা, না খেয়ে প্রাণ গেল ছোট্ট শিশুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২৬ মার্চ ২০২১, ২০:০৬
Mum, 19, left baby alone to starve to death for six days while she partied for birthday,
মায়ের অবহেলায় মারা যাওয়া ছোট্ট আসিহা

নিজের জন্মদিন পালন করতে করতে সন্তানের কথাই ভুলে গেলেন মা। ৬ দিন ধরে বন্ধ ঘরেই ফেলে রাখেন নিজের সন্তানকে। আর সেই কদিনে না খেতে পেয়ে, পানিশুন্যতা আর ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল ছোট্ট শিশুটির।

ভার্ফি কুদি নামে ১৯ বছর বয়সি ওই তরুণ মাকে নিজ সন্তানকে হত্যার দায়ে শুক্রবার সকালে দোষী সাব্যস্ত করেছে ইংল্যান্ডের আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে মাত্র ২০ মাস বয়সি আসিহাকে ফেলে নিজের জন্মদিনের পার্টিতে মত্ত হয়ে উঠেছিলেন ভার্ফি। ৬ দিন ধরে পার্টি করেন ওই তরুণ মা, ততদিনে না খেয়ে মারা যায় ছোট্ট আসিহা।

যারা ওই ফ্ল্যাট থেকে আসিহাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় তাদের বরাতে জানা গেছে, ৬ দিন ধরে বদ্ধঘরে আটকে থেকে না খেতে পেয়ে হৃষ্টপুষ্ট আসিহার শরীর শুকিয়ে নীল হয়ে যায়। প্রস্রাব-পায়খানায় মাখামাখি হয়ে কাঠ হয়ে পড়ে ছিল শিশুটি।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই মা ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সাসেক্সের ব্রাইটনে নিজের ফ্ল্যাট ছেড়ে বের হয়ে যান। এরপর তিনি ফেরেন ডিসেম্বরের ১১ তারিখে।

বাড়ি ফেরার পর তার সন্তানকে রয়্যাল আলেক্সান্ড্রা শিশু হাসপাতালে নেওয়া হলেও তার আগেই তার মৃত্যু হয়। এরপর শিশুটির ময়নাতদন্ত করা হলে দেখা যায়, অবহেলার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। অনাহারে, পানিশুন্যতার পর ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে শেষমেশ মারাই যায় ছোট্ট আসিহা।

২০১৮ সালের ২২ মার্চ জন্ম নেওয়া আসিহা ব্রাইটনের ওই ফ্ল্যাটে মায়ের সঙ্গে থাকতো। ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টম্বর থেকে সামাজিক পরিষেবার আওতায় তাদেরকে ওই ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছিল।

জানা যায়, ১১ই ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে পার্টি শেষে বাড়ি ফেরার পর ভার্ফি ৯৯৯-এ ফোন করে জানান যে তার সন্তান কোনো সাড়া দিচ্ছে না।

পরবর্তীতে শিশুটির মৃত্যুর জন্য ভার্ফিকে আটক করে সাসেক্স পুলিশ। তার আগে সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে এ কদিন ধরে কুদি লন্ডন, কনভেন্ট্রি এবং সলিহুলে পার্টি করে বেড়াচ্ছিল। মিরর অনলাইন

টিএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh