স্বামীর মাথা কেটে হত্যা করলো ভাই, শোকে বোনের আত্মহত্যা
দুই মাস আগে পছন্দের মানুষের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরে তাকেই বিয়ে করে সংসার শুরু করেন ২০ বছর বয়সী পূজা। কিন্তু বৃহস্পতিবার তার স্বামী ৩০ বছর বয়সী ব্রিজেশ ওরফে বিজেত বর্মণকে হত্যা করে পূজার আপন ভাই। পরে স্বামীর শোক সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন পূজাও।
এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের জাবালপুরে। বহুদিন ধরে তক্কে তক্কে ছিল পূজার ভাই ২১ বছর বয়সী ধীরাজ ওরফে মন্টু শুকলা। বৃহস্পতিবার সুযোগ পেয়ে তার বোন জামাইকে মাথা কেটে হত্যা করে ধীরাজ। পরে সেই কাটা মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
স্বামীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর পর পূজার বাড়িতে গিয়ে তার মৃতদেহ ঝুলতে দেখা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তারা মনে করছে, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। তবে এ ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে। যদিও স্থানীয়রা পূজা আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
জাবালপুরের বার্গির সিটি সুপার অব পুলিশ (সিএসপি) রবি চৌহান বলেন, এটা হনার কিলিং নয় বরং রাগ থেকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় দুই মাস আগে পূজাকে নিয়ে পালিয়ে যান ব্রিজেশ। পরে তারা বিয়ে করেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় ধীরাজ। ওই দম্পতি পরে যখন রামনগরে তাদের গ্রামে ফিরে আসে তখন থেকেই সুযোগ খুঁজতে থাকে ধীরাজ। বৃহস্পতিবার ব্রিজেশ একটি ক্ষেতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে কুড়াল দিয়ে তার মাথা কেটে ফেলে ধীরাজ। এসময় তার হাতও কেটে নেয় ধীরাজ বলে জানান সিএসপি।
পরে ব্রিজেশের কাটা মাথা ব্যাগে ভরে স্থানীয় তিলওয়ারা পুলিশ স্টেশনে যায় ধীরাজ। সেখানে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে। পরে পুলিশকে ঘটনাস্থলেও নিয়ে যায় ধীরাজ। সিএসপি রবি বলেন, স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে পূজা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ/পি
মন্তব্য করুন