ছবি আঁকেন, খেয়েও ফেলেন
কোনো ছবি আঁকার ক্ষেত্রে সবার আগে রং তুলির বিষয়টি মাথায় আসবে যে কারোরই। কেউ জলরং তো কেউ তৈলরং। তাই বলে মধু, চকলেট কিংবা জ্যাম! হ্যা, ঠিকই পড়ছেন। মিশরীয় শিল্পী স্যালি ম্যাগদি মুরাদ ছবি আঁকতে ব্যবহার করেন এসব মজার খাবার-দাবার। ছবি আঁকা শেষে তা আবার খেয়েও ফেলেন। করোনায় ঘরবন্দী থাকাকালে এই আইডিয়া মাথায় আসে ২৫ বছর বয়সী এই নারী শিল্পীর।
কোয়ারেন্টাইনের সময় সবাই যখন নেটফ্লিক্স কিংবা ইউটিউবে ভিডিও দেখে সময় পার করছিলেন ঠিক তখনই স্যালি মধু-চকলেট ছাড়াও অন্যান্য খাবার দিয়ে ছবি আঁকায় ব্যস্ত সময় পার করছিলেন। সেসব ছবি আঁকতে রং হিসেবে তিনি মধু কিংবা চকলেট ছাড়াও গুড়, খাবার সিরাপ, জ্যাম, ডালিমের রস ইত্যাদি ব্যবহার করেন। তুলি হিসেবে ব্যবহার করেন টুথপিক কিংবা কাঁটাচামচ। মূলত বিখ্যাত সব অ্যারাবিক ব্যক্তিত্বদের ছবি আঁকেন তিনি।
স্যালি বলেন, প্রথমে সবাই পছন্দ করেন এমন কিছু দিয়ে ছবি আাঁকার কথা মাথায় আসে আমার। চিন্তা করতে থাকি কী দিয়ে ছবি আঁকা যায়। চিন্তা করে খাবার জিনিস ছাড়া আর কিছু মাথায় আসেনি। এরপরই আমি মধু, জ্যাম ইত্যাদি দিয়ে ছবি আঁকা শুরু করি। তিনি আরও বলেন, আমি নিজেকেই প্রশ্ন করি রং হিসেবে নির্দিষ্ট কিছু খাবার কেন ব্যবহার করছি না; যেগুলো দিয়ে আঁকাআঁকি শেষে তা খেয়ে ফেলা যাবে।
শুরুতে স্যালি মধু, সিরাপ ইত্যাদি রং হিসেবে ব্যবহার করলেও ধীরে ধীরে অন্যান্য খাবার যেমন ক্যান্ডি, রাইজিন কিংবা মিশরীয় কোশারি, কোফতা ইত্যাদি দিয়েও ছবি আঁকা শুরু করেন। অনেকটা এমন যেন- যা কিছু খাওয়া যাবে তা দিয়ে হয়তো ছবি একে ফেলবে স্যালি। তাছাড়া তুলি হিসেবে কাটাচামচ কিংবা টুথপিক ব্যবহার করে তিনি বেশ নিখুতভাবে ছবি আঁকেন।
ঘরের দেয়ালে ছবি আঁকা দেখে শৈশবেই স্যালির প্রতিভা নজরে পড়ে তার পেইন্টার বাবার। স্কুলেও তিনি বিভিন্ন আঁকাআকি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বেশ সুনাম অর্জন করেন। যদিও শৈশবে সে সাধারণ রং তুলি দিয়েই আঁকাআঁকি করতেন। পরবর্তীতে তিনি নানান জিনিস রং হিসেবে ব্যবহার করে আঁকাআঁকি চালিয়ে যেতে থাকে। তবে কোয়ারেন্টাইনের সময় এসব খাবার জিনিস দিয়ে ছবি আঁকা শুরু করেন তিনি। সবচেয়ে সহজলভ্য জিনিস দিয়ে স্বতন্ত্র ছবি আঁকাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য।
দক্ষ চিত্রকরের পাশাপাশি স্যালি একজন দক্ষ ক্যালিগ্রাফারও। প্রায়ই তিনি তার চিত্রকর্মে ক্যালিগ্রাফির ব্যবহার করে থাকেন।
এমকে
মন্তব্য করুন