যে কারণে খাশোগি হত্যায় যুবরাজ মোহাম্মদকে ‘ছাড় দিলো’ যুক্তরাষ্ট্র
সৌদি আরবের ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় ৭৬ জন সৌদি নাগরিকের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও যুবরাজ মোহাম্মদকে এর বাইরে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন : আত্মহত্যার আগে আয়েশার ভিডিও বার্তা
এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে সোমবার জবাব দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, কোনও সরকারের প্রধান যার সঙ্গে আমাদের কূটনেতিক সম্পর্ক রয়েছে, তার ওপর আমরা নিষেধাজ্ঞা দেই। এজন্য তাকে নিষেধাজ্ঞা আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বেশ কিছু জায়গায় সৌদির সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। যেমন- গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি, তাদের দোরগোড়ায় যে হুমকি এবং তারা যে রকেট হামলার শিকার হচ্ছে তার বিরুদ্ধে রক্ষা করতে সহায়তার মতো বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।
আরও পড়ুন : বিয়ের জন্য ৫৬৫ কি.মি. পাড়ি দিলেন নারী আইপিএস অফিসার
হোয়াইট হাউজের এই মুখপাত্র বলেন, বৈশ্বিক কূটনীতির ক্ষেত্রে কোনও দেশকে প্রয়োজনে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হয়। তবে সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থটাও দেখতে হবে। তবে সৌদির কার্যত শাসকের বিরুদ্ধে ‘নির্দিষ্ট যেকোনো সময়ে যেকোনো পদক্ষেপ’ নেয়ার অধিকার রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্র সাধারণত কোনও দেশের প্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা করে না। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
আরও পড়ুন : মানুষের কপালে মিললো ১৭৫ কোটি টাকার হীরা
আবার রাষ্ট্রপ্রধান না হওয়া সত্ত্বেও ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ীর ওপরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এসব দেশের সঙ্গে মার্কিন সরকারের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো নয়।
এ
মন্তব্য করুন