• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সিরিয়ায় নিখোঁজ লাখো মানুষ: জাতিসংঘ (ভিডিও)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ০২ মার্চ ২০২১, ১২:৩৩
syria missing un
সিরিয়ান সরকারের নির্যাতনের শিকার বাবার খোঁজে জার্মানির পথে বসে আলোচনায় আসেন ওয়াফা মোস্তফা

সিরিয়ায় গেল দশ বছরের গৃহযুদ্ধের সময় আটক হওয়া লাখ লাখ বেসামরিক নাগরিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। কয়েক হাজার মানুষ হয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বা নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মারা গেছেন। এমটাই জানিয়েছে জাতিসংঘের জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের তদন্তকারীরা।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গৃহ যুদ্ধকালীন সময়ে যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়ে নতুন এক রিপোর্টে এসব তথ্য সামনে এসেছে।

আরও পড়ুন : আত্মহত্যার আগে আয়েশার ভিডিও বার্তা

অত্যাচারের শিকার হওয়া প্রত্যক্ষদর্শীরা পরিস্থিতিকে বর্ণনা করেছেন ‘কল্পনাতীত দুর্ভোগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে বিষয়টি এখন ‘ন্যাশনাল ট্রমা’য় পরিণত হয়েছে যার দিকে অবশ্যই দৃষ্টি দেয়া দরকার।

২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসে উঠে সিরিয়া। বিক্ষোভকারীদের দমনে প্রাণঘাতী ব্যবস্থার নেয় সরকারীবাহিনী। যা পরবর্তীতে রূপ নেয় গৃহযুদ্ধে। যা এখনো চলমান রয়েছে।

দীর্ঘ এক দশকে এই পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সিরিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই বসতভিটা ছেড়ে পালিয়েছে। শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে কমপক্ষে ৬০ লাখ মানুষ।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশনের সিরিয়া বিষয়ক এই তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রায় ২ হাজার সাড়ে ৬০০ সাক্ষ্য আর আটকের পর একশটির বেশি ঘটনার উপর ভিত্তি করে এটি তৈরি করা হয়।

আরও পড়ুন : হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগেই টিকা নিয়েছেন ট্রাম্প-মেলানিয়া

প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতিপক্ষকে শাস্তি দেয়ার জন্য সিরিয়ায় সক্রিয় সব পক্ষই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান পাওলো পিনহেইরো বলছিলেন, সরকারি বাহিনী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও বিক্ষোভকারীদের আটক করেছে যে এই সংঘাতের মূল উৎস।

তিনি আরও বলেন, সশস্ত্র বাহীনিগুলো এবং জাতিসংঘ কর্তৃক চিহ্নিত হায়াৎ তাহরির আল শামস ও ইসলামিক স্টেস্টের মতো সন্ত্রাসী বাহীনিগুলো সুযোগ নেয়। এতে মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া ও একই ধরণের জঘন্য ঘটনা ঘটাতে শুরু করে।

আরও পড়ুন : সৌদি যুবরাজ সালমানের শাস্তি চাইলেন খাশোগির স্ত্রী

আগে আটক ছিলেন এমন কয়েকজন জানিয়েছেন, মাসের পর মাস দিনের আলো দেখেননি তারা। নোংরা পানি পান করতে হয় তাদের। বাসি খাবারও খেতে হয়েছিল। এমনকি ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত সেলে তাদের রাখা হয়। এসব সেলে টয়লেট সুবিধা যেমন ছিল না, তেমনি ছিল না কোনও চিকিৎসা সুবিধা।

ওয়াই

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান শিকার এশিয়া: জাতিসংঘ
ইরাক থেকে সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে রকেট হামলা
মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা
মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ : একদিনে বিজিপির আরও ২৪ সদস্য বাংলাদেশে
X
Fresh