‘যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে পারে একমাত্র রাশিয়া’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফোন করেছিলেন কিন্তু তাকে দেয়া হয়নি এমনটা শুনে রেগে লাল হয়ে যান ২০১৭ সালে সদ্য শপথ নেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন একটি ডকুমেন্টরি এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের।
ট্রাম্প শপথ নেয়ার কিছুদিন পর ওয়াশিংটন সফরে যান তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মে’র সঙ্গে অস্বস্তিকর একটি বৈঠকের মধ্যেই ট্রাম্পকে বলা হয় পুতিন তাকে ফোন করেছিলেন। এমনটা শুনে রীতিমতো রেগে যান ট্রাম্প।
বিবিসির তৈরি করা এই ডকুমেন্টরি বুধবার প্রচারিত হবে। সেখানে বলা হয়, হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টারা যখন ট্রাম্পকে জানান যে পুতিন ফোন করেছিলেন কিন্তু তাকে দেয়া হয়নি, এটা শুনে তিনি রেগে যান।
ট্রাম্পের তখনকার অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে তৎকালীন ডাউনিং স্ট্রিট চিফ অব স্টাফ ফিয়োনা ম্যাকলিড হিল বলেন, এক পর্যায়ে ট্রাম্পের চেহারা হলুদ, না রক্তিম হয়ে যায়। ‘ট্রাম্প টেকস অন দ্য ওয়ার্ল্ড’ শিরোনামে তিন খণ্ডের এই ডকুমেন্টরিটি তৈরি করেছে পুরস্কারজয়ী ডকুমেন্টরি নির্মাতা নর্মা পারসি।
ম্যাকলিড হিল বলেন, তিনি প্রচণ্ড ক্ষেপে যান। ট্রাম্প বলেন, আপনারা বলছেন ভ্লাদিমির পুতিন ফোন দিয়েছিলেন তাহলে এখন লাঞ্চের সময় কেন এই কথা বলছেন? আমি তখন কম্পন অনুভব করতে পারছিলাম।
এর কিছুক্ষণ আগে মে সদ্য শপথ নেয়া প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে, ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন কিনা। যুক্তরাষ্ট্রে তৎকালীন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কিম দারোচ বলেছেন, মে পুতিনের বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু পুতিনের ফোনকল মিস করায় স্পষ্টতই রেগে ছিলেন ট্রাম্প। তখন তিনি মে’কে বলেন, রাশিয়ার নেতার ফোন তিনি ধরতে পারেননি এটা তার বিশ্বাস হচ্ছে না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ট্রাম্প বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি যিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে পারে এবং আমি তার কল ধরিনি।
এ
মন্তব্য করুন