ক্ষমতা দখলের কারণ ব্যাখ্যা করলেন মিয়ানমার সেনা প্রধান
মিয়ানমারে গত বছরের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং ক্ষমতাসীন দলের এনএলডি’র প্রধান অং সান সু চিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। এরপর দেশটিতে জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়েছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন টেলিভিশনে এক ভিডিও বার্তা এ কথা জানানো হয়েছে। জরুরি অবস্থা জারির পর দেশের পুরো ক্ষমতা এখন সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ভোট কারচুপির অভিযোগে আটক সু চি
সেনাবাহিনীর ভিডিও বার্তায় বলা হয়েছে, যে ভোটার তালিকার ভিত্তিতে বহুদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই তালিকায় অসংগতি ছিল এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ওই ইস্যু সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব জনগণের কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা দিয়ে গণতান্ত্রিক সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা দেশটির স্থিতিশীল গণতন্ত্রের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এরপর ভোটার তালিকায় জালিয়াতির সমাধান এবং পার্লামেন্টের অধিবেশন বন্ধের অনুরোধ রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০০৮ সালের সংবিধানের ৪১৭ ধারা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : মিয়ানমারে টিভি-ফোন-ইন্টারনেট বন্ধ
যতক্ষণ না এই সমস্যার সমাধান হয়, এটি গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করবে এবং তাই আইন অনুযায়ী এটি সমাধান করতে হবে। সুতরাং ২০০৮ সালের সংবিধানের ৪১৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই এবং পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ২০০৮ সালের সংবিধানের ৪১৮ (ক) ধারা অনুসারে দেশের আইন প্রণয়ন, পরিচালনা ও এখতিয়ারের কর্তৃত্ব সেনাপ্রধানের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই জরুরি অবস্থা এক বছর পর্যন্ত বহাল থাকবে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন : মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের নিন্দা পশ্চিমা দেশগুলোর
এ
মন্তব্য করুন