পম্পেওসহ ২৮ মার্কিন কর্মকর্তার ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের দুই ডজনের বেশি কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। ওই তালিকায় রয়েছেন ট্রাম্প সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা। ‘পাগলাটে’ নীতির কারণে চীনের ‘সার্বভৌমত্ব’ লঙ্ঘনের ঘটনায় এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
ওয়াশিংটনের মসনদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন বসার পর চীন এমন পদক্ষেপ নিলো। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনও চীনের ব্যাপারে তাদের নীতি বদলাবে না। তবে ট্রাম্পের বিভক্তির রাজনীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব থেকে অনেকটাই আলাদা হয়েছে, সেক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে চীন বিরোধী কিছু রাজনীতিবিদরা চীন ও মার্কিন জনগণের স্বার্থের প্রতি কোনও গুরুত্ব না দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থপর রাজনৈতিক স্বার্থ এবং চীনের বিরুদ্ধে কুসংস্কার এবং ঘৃণা প্রকাশ করতে বেশ কিছু পাগলাটে পরিকল্পনা প্রোমোট এবং কার্যকর করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এসব পদক্ষেপ ‘চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মারাত্মকভাবে হস্তক্ষেপ করেছে, চীনের স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করেছে, চীনে জনগণকে অসন্তুষ্ট করেছে এবং চীন-মার্কিন সম্পর্ককে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের সার্বভৌমত্বকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘনকারী এবং চীন-সম্পর্কিত ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের জন্য দায়ী ২৮ জনের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। পম্পেও ছাড়াও ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভাররো, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফর ইস্ট এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স ডেভিড স্টিলওয়েল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার এবং জাতিসংঘে মার্কিন দূত কেলি ক্রাফটসহ আরও বেশ কয়েকজন রয়েছেন।
এ
মন্তব্য করুন