পাকিস্তানের নারীদের জন্য মেধাবৃত্তিতে সই করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতার শেষ দিকে এসে পাকিস্তানের নারীদের উচ্চশিক্ষায় মেধাবৃত্তিতে সই করেছেন। ট্রাম্পের সইয়ের পর নোবেল বিজয়ী ‘মালালা ইউসুফজাই শিক্ষা বিষয়ক অ্যাক্ট’টি আইনে পরিণত হয়েছে। এখন থেকে এই আইন অনুসারে পাকিস্তানের নারীরা কমপক্ষে ৫০ শতাংশ শিক্ষাবৃত্তি পাবেন।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) পাকিস্তানের ডন সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, জানুয়ারি মাসের শুরুতে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাবিত আইনটি পাস হয়। এরপর এটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সইয়ের জন্য হোয়াইট হাউসে পাঠানো হয়। নতুন এই অ্যাক্টের নামকরণ করা হয়েছে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের নামে।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, স্থানীয় সময় গত বুধবার মালালা ইউসুফজাই স্কলারশিপ অ্যাক্টে ট্রাম্প সই করেন। এই অ্যাক্টে ট্রাম্পের সইয়ের পর ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড) অর্থায়নে পাকিস্তানের নারীরা মেধা অনুসারে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বৃত্তি পাবেন।
২০২০ সালের মার্চ মাসে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে প্রথমবার বিলটি পাস করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি মার্কিন সিনেটে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়।
পাকিস্তানের নারীদের ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫০টি উচ্চ শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হবে। এই শিক্ষাবৃত্তি পাঠ্যক্রম ও যোগ্যতা অনুসারে দেওয়া হবে। এছাড়াও পাকিস্তানের শিক্ষা কর্মসূচির উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে।
ইউএসএইডের বৃত্তির অধীনে মেধা ও আর্থিক ক্ষমতার ভিত্তিতে ‘কৃষি বা ম্যানেজমেন্ট’ শাখার পাকিস্তানি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হতো। ২০২০ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৮০৭টি বৃত্তির মধ্যে ২৫ শতাংশ পেয়েছিল ছাত্রীরা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সইয়ের পর বৃত্তি বেড়ে ৫০ শতাংশে দাঁড়াল। এগুলো শুধু মাত্র পাবেন পাকিস্তানের পিছিয়ে পড়া মেধাবী ছাত্রীরা।
জিএম/ এমকে
মন্তব্য করুন