পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রেপ্তার
পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা খাজা মোহাম্মদ আসিফকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির একটি দুর্নীতি বিরোধী আদালত। ইসলামাবাদে নিজ দলের আরেকজন সিনিয়র নেতার বাসার বাইরে থেকে আসিফকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব)।
বর্তমানে আসিফ দেশের অন্যতম বিরোধী মুখ ছিলেন। নওয়াজ শরিফের অবর্তমানে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তিনি। বিরোধীদের বক্তব্য, রাজনৈতিক কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসিফকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে টুইট করেছেন খোদ নওয়াজ শরিফ। তার অভিযোগ, ইমরান খানের সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে দমনমূলক আচরণ করছে। আসিফের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছেন নওয়াজ। যদিও তার বিরুদ্ধেও শাস্তির খাঁড়া ঝুলছে।
পিএমএল-এন’র মহাসচিব আহসান ইকবালের বাড়িতে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পিএমএল-এন’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজও উপস্থিত ছিলেন। এই গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ন্যাব ‘সন্ত্রাসীদের’ মতো আচরণ করেছে এবং রাতের অন্ধকারে আসিফকে ‘অপহরণ’ করেছে।
পরে ন্যাবের একজন মুখপাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে আসিফকে গ্রেপ্তারটি বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ‘জ্ঞাত বহির্ভূত উৎস থেকে সম্পদ’ অর্জনের কারণে ন্যাব লাহোরের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে আসিফকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর ন্যাব লাহোর জানিয়েছে, আজ বুধবার ইসলামাবাদে একটি অ্যাকাউন্টেবিলিটি আদালতে হাজির করা হবে আসিফকে। তাকে লাহোরে নিয়ে যাওয়ার আগে অন্তর্বর্তী রিমান্ডও চাওয়া হবে।
ন্যাব বলছে, ১৯৯১ সালে আসিফের মোট সম্পত্তি ছিল ৫.১ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২২১ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। আসিফ এর আগে দাবি করেছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। সেখান থেকে এই পরিমাণ সম্পত্তি হয়েছে তার।
কিন্তু ন্যাব বলছে, যে সময় আসিফ আমিরাতে কাজ করতেন বলে দাবি করছেন, সে সময় তিনি দেশেই ছিলেন। ওই কোম্পানির কাগজ তিনি জাল করেছেন বলেও অভিযোগ করেছে সংস্থাটি।
এদিকে বিরোধীরা অবশ্য এই পুরো বিষয়টিকেই চক্রান্ত বলে মনে করছে। আসিফকে গ্রেপ্তার করায় ইমরানের উপর বিরোধীদের চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ
মন্তব্য করুন