• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বিমানে ইলেক্ট্রোনিক যন্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে কী

অনলাইন ডেস্ক
  ২২ মার্চ ২০১৭, ২২:০৩

বিমানে ইলেক্ট্রোনিক যন্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে নিরাপত্তাঝুঁকি নাকি উপসাগরীয় এয়ারলাইন্সগুলোর অর্থনৈতিক ক্ষতি করে মার্কিন বিমান সংস্থাগুলোকে সুবিধা দেয়া। এরকম বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

তাদের ব্যাখ্যায় স্পষ্ট করা হয়েছে মার্কিন বিমান সংস্থাগুলোকে সুবিধা দিতেই ট্রাম্প প্রশাসন এ নতুন নীতি গ্রহণ করেছে।

মিশর, জর্ডান, কুয়েত, মরক্কো, কাতার, সৌদি আরব, তুরস্ক অথবা সংযুক্ত আরব আমিরাত— কেউ যদি এই দেশগুলোর একটির নাগরিক হন এবং কেউ যদি ইজিপ্ট এয়ার, এমিরেটস, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ, রয়্যাল এয়ার মরক্কো, রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ারলাইনস, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস অথবা টার্কিশ এয়ারলাইনে ভ্রমণ করেন তাহলে বিমানে ল্যাপটপ কিংবা আইপ্যাড বহন করতে পারবেন না।

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে চলাচল করা বিমানগুলোকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামলা চালাতে পারে বলে দেশটির গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার থেকে নতুন এ নিয়ম চালু করা হয়েছে। সিরিয়ার একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে বিশেষ এক ধরণের বোমা তৈরি করছে যা চিহ্নিত করা খুবই কঠিন। এ বিষয়টি প্রশাসনকে বেশ কিছুদিন ধরে ভাবিয়ে রেখেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের বিশেষজ্ঞরা অবশ্য নতুন নিয়ম চালু করা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন ব্যাখ্যা নিয়ে সন্দিহান।

তারা বলছেন, সাম্প্রতিক গোয়েন্দা তথ্য কিংবা দীর্ঘমেয়াদি সচেতনতার অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কি না সেটা প্রশাসন পরিষ্কার করে বলছে না। শুধু হ্যান্ডব্যাগে বহন করা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেনো সতর্কতা জারি করা হলো, কিন্তু বিমানের লাগেজে করে যে ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো যাবে সেগুলো কেনো সতর্কতার বাইরে থাকবে। এ বিষয়টি তারা বুঝে উঠতে পারছেন না।

ওয়াশিংটন বিকল্প ব্যাখ্যায় বলছে, নতুন এ সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ নিরাপত্তা নাও হতে পারে। ইমেরিটাস, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ও কাতার এয়ারওয়েজ এই তিনটি এয়ারওয়েজকে তালিকাভুক্ত করার পেছনের কারণ। এগুলোর মার্কিন প্রতিযোগীরা তাদের বিরুদ্ধে নিজ দেশের সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কার্যকরি ভর্তুকি সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ করে আসছে। ট্রাম্প তাদের উপর প্রতিশোধমূলক আচরণ করতে পারে এ আশঙ্কা থেকে কয়েকমাস ধরে এয়ারলাইন্সগুলো উদ্বিগ্ন ছিলো। এটা প্রতিশোধও হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেটের শিকার হওয়ায় এই তিনটি এয়ারলাইন্সসহ বাকি এয়ারলাইনগুলোও ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রথম শ্রেণি ও বিজনেস ক্লাস যাত্রীদের হারাতে যাচ্ছে, যা থেকে তারা বিপুল পরিমাণ ব্যবসা করে থাকে।

ব্যবসায়ীরা সাধারণত বিমানের মধ্যে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য ও পছন্দ করে থাকেন। এ কারণে তারা উচ্চমূল্য পরিশোধ করে বিজনেস ক্লাস ও ফার্স্ট ক্লাসে ভ্রমণ করে থাকেন। এ যাত্রীদেরকে এখন থেকে স্মার্টফোনেই কাজ সারতে হবে অথবা তারা ভ্রমণরত অবস্থায় আর কোনো কাজই হয়তো করতে পারবেন না। এ কারণেই তারা উপসাগরীয় এয়ারলাইন্সগুলোতে ভ্রমণ বাদ দেবেন এবং এর পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ শুরু করবেন।

এপি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh