• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাজকীয় ডিক্রির পরও প্রত্যাহার হয়নি সৌদি শিশুদের মৃত্যু দণ্ডাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি

  ২৩ নভেম্বর ২০২০, ১৮:১৬
Saudi minors still on death row despite royal decree
সংগৃহীত

মাত্র ১৫ বছর বয়সে মোহাম্মদ আল ফারাজকে গ্রেপ্তার করে সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ কাতিফের বাসিন্দাকে আটকের পর তার সঙ্গীদের থেকে আলাদা করা হয়। এরপর দাম্মামে পূর্ণবয়স্কদের জন্য তৈরি কারাগারে আল ফারাজকে স্থানান্তর এবং বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

২০১৭ সালের অক্টোবরে আল ফারাজের পরিবার তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায়। তবে বন্দি থাকা অবস্থায় তাকে পেটানো, লাথি মারা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ট্রেস পজিশনে থাকতে বাধ্য করা এবং সলিটারি কনফাইনমেন্টে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন আল ফারাজ।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অস্থিতিশীল কাতিফ প্রদেশে বিক্ষোভ সংশ্লিষ্ট তিনটি অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার স্বীকারোক্তি আদায়ে আল ফারাজকে নির্যাতন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- একজন পলাতককে আশ্রয়, ২০১২ সালে একজন আত্মীয়ের জানাজায় অংশগ্রহণ এবং হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো, যার মাধ্যমে জননিরাপত্তা প্রভাবিত হতে পারে। এসব অপরাধের সাজা হচ্ছে ‍মৃত্যুদণ্ড।

অলাভজনক মানবাধিকার সংস্থা রিপ্রাইভের ক্যাট্রিওনা হ্যারিস বলেছেন, ২০১২ সালে জানাজায় অংশ নেয়ার সময় আল ফারাজের বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর। কোনও একটি অপরাধের অভিযোগে এটাই সবচেয়ে কম বয়সের ঘটনা দেখেছি আমরা।

তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরব জানায়, তারা শিশুদের জন্য মৃত্যুদণ্ড এবং বেত্রাঘাতের মতো শাস্তি স্থগিত করবে। দেশটির মানবাধিকার কমিশনের প্রেসিডেন্ট আওয়াদ আল আওয়াদ বলেছেন, শিশুদের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড রহিত করে একটি রাজকীয় ডিক্রি জারি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এর পরিবর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তি কিশোর ডিটেনশন সেন্টারে ১০ বছর বন্দি থাকবে। এই ডিক্রির ফলে একটি আধুনিক পিনাল কোড তৈরি করা সহজ হবে। এটা সৌদি আরবের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন বলেও মন্তব্য করেন আল আওয়াদ।

গত অক্টোবরের শেষদিকে মানবাধিকার কমিশন জোর দিয়ে বলেছেন, শিশুদের জন্য মৃত্যুদণ্ডাদেশ রহিত করা হয়েছে। তাই কিশোর অপরাধের জন্য সৌদি কৌঁসুলিরা এখন আর অপরাধীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডাদেশ চাইছেন না।

তবে ক্যাম্পেইনাররা বলছেন, সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও আল ফারাজসহ অন্তত ১০ জন মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় আছে। গত আগস্টে মানবাধিকার কশিশন জানায়, তিনজন হাইপ্রোফাইল বন্দি আলি আল-নিমর, দাউদ আল-মারহুন এবং আব্দুল্লাহ আল-জাহেরের সাজা পর্যালোচনা করবে সরকারি কৌঁসুলিরা।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গরমে শিশুর যত্নে যা করবেন
শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, সৎ মায়ের যাবজ্জীবন
ডাকাতিয়া নদীতে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার 
তাপপ্রবাহে ‘অতি উচ্চঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
X
Fresh