করোনায় ইউরোপে সবচেয়ে বিপর্যস্ত ফ্রান্স
ফ্রান্সে কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। যদিও দুই সপ্তাহ আগে দেশটিতে নতুন করে বিভিন্ন শহরে লকডাউন দেয়া হয়েছে। দিন দিন সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফ্রান্সের নার্সিং হোমগুলোতে সেবা দেয়ার জন্য সেবাকর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ডকটরস উইদাউট বর্ডারস।
সংস্থাটির সমন্বয়ক অলিভিয়া গেরাউড জানিয়েছেন, দেশটির অতিরিক্ত কাজের চাপে থাকা সেবাকর্মীদের সহায়তাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলছেন, ‘ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে’ রক্ষার মাধ্যমে সংকট মোকাবিলায় সংস্থাটির অভিজ্ঞতা রয়েছে।
ফ্রান্স ছাড়াও ইউরোপের অন্যান্য দেশের পরিস্থিতিও কম একটা ভালো নয়। জার্মানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৮৬৬ জন সংক্রমিত হয়েছে। মারা গেছে ২১৫ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান জানিয়েছেন, সংক্রমণ কমে গেলেও শীতকাল জুড়েই চলাফেরায় কড়াকড়ি থাকবে। সংবাদসংস্থা আরবিবিকে তিনি বলেন, এই শীতে ১০-১৫ জনের বেশি মানুষের অংশগ্রহণে কোনও আয়োজন হওয়া সম্ভব নয়।
সুইডেনও করোনার সংক্রমণে ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে। এমতাবস্থায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেন জানিয়েছেন, তার সরকার রাত ১০টার পর বার, রেস্টুরেন্ট এবং নাইট ক্লাবে অ্যালকোহল বিক্রি বন্ধে একটি নতুন আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে। এই আইন ২০ নভেম্বর থেকে কার্যকর হতে পারে। চলতি সপ্তাহে স্টকহোমের নার্সিং হোমগুলোতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেগুলোতে বাইরের কারও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া স্পেনে মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। সংক্রমিত হয়েছে ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ। সেখানে নতুন সংক্রমণের হারও বেড়ে চলেছে। এদিকে সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের দপ্তর। দেশটির অর্থমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং জেলেনস্কির শীর্ষ এক কর্মকর্তাও আক্রান্ত হয়েছেন।
এ
মন্তব্য করুন