সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ নারীর ভুয়া পর্ন ভিডিও!
বিশ্ব এখন অনলাইন গতির সঙ্গে চলমান। কারণ মানুষের মাঝে সোশাল মিডিয়ার প্রভাব রয়েছে অনেক বেশি। এরকম তথ্য গবেষণায় প্রায় দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রায় এক লক্ষেরও বেশি নারীর ছবি সংগ্রহ করার পর সেগুলো ফেক আইডি দিয়ে এবং ভুয়া নগ্ন ছবি তৈরি করে অনলাইনে তা শেয়ার করা করছে বলে এক রিপোর্টে জানা যায়।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে সংগ্রহ করা ছবি থেকে নারী দেহের পোশাক সরিয়ে ফেলা হয় এবং মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে এসব নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসব বিবস্ত্র নারীর অনেকেই কমবয়সী বলে জানান ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি সেনসিটির তৈরি এই রিপোর্টটিতে। তবে যারা এই কাজটি করছে তারা শুধু মাত্র বিনোদনের জন্য করছেন বলে ব্যাখ্যা করেন।
অন্যদিকে সেনসিটি দাবি করছেন, ’ডিপফেক বট’ নামে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীদের নগ্ন বানানোর কাজটি এখনো চলছে। ডিপফেক হলো কম্পিউটারে তৈরি এক ধরণের ছবি বা ভিডিও যা দেখলে কেউ ধরতে পারবে না যে এটি নকল। এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেলেব্রিটিদের নিয়ে ভুয়া পর্নোগ্রাফিক ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে থাকেন।
সেনসিটির প্রধান নির্বাহী জর্জিও পাত্রিনি বলেন, তারকাদের ছেড়ে সাধারণ মানুষের ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও অথবা ছবি তৈরি করার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুক বা অন্য যেকোনো আইডিতে কারো যদি একটি ছবিও থাকে তাহলে এ ধরণের ছবি তৈরি করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
শিশু যৌন নির্যাতনের বিষয়ে সেনসিটি তার রিপোর্টে বলেছে, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের একই মাস পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ চার হাজার ৮৫২ নারীর ছবির অপব্যবহার করে ডিজিটাল কায়দায় তাদের বিবস্ত্র করা হয়েছে। এসব ছবি সোশাল মিডিয়াতে খোলাখুলিভাবে ব্যবহারও করা হয়।
আরও পড়ুনঃ
মাদরাসাছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, আটক ২
প্রেমিকের বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী
রাতে মা গেলেন গল্প করতে, বাড়িতে একা পেয়ে মেয়েকে ধর্ষণ
ধর্ষণ থেকে বাঁচতে মা-বোনদের সঙ্গে ছুরি রাখতে বললেন নুর
ধর্ষণ বিরোধী শিক্ষা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
এসব ভুয়া পর্নের যারা শিকার হচ্ছে, তাদের জীবনের ওপর এর প্রভাব ভয়ানক ভাবে পড়ছে যার কারণে স্বাভাবিক জীবনের ওপর প্রভাব পড়ছে। তারা সমাজে এতটাই অমর্যাদা আর অসম্মানের মুখোমুখি হন যে তাদের জীবনের বেঁচে থাকার শান্তিটুকু থাকে না।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যই প্রথম কোনও রাজ্য যেখানে ডিপফেক প্রযুক্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটেনের সরকারও এখন এ সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন করার চিন্তাভাবনা করছেন।
জিএম/এসএস
মন্তব্য করুন