• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনার প্রকোপে লকডাউন আসছে ইউরোপে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২০ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৫৬
আয়ারল্যান্ড।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কবলে পড়ে অনেক জীবন ঝরেছে ইউরোপে। আবারও করোনার ধাক্কা আসছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।

ধকল সামলাতে আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলসে নতুন করে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে৷ ইউরোপের বাকি দেশগুলোর অবস্থাও ভালো নয়৷ জার্মানির একটি জেলাও লকডাউনের কোপে পড়ছে৷ খবর ডয়চে ভেলের।

শীতের মাসগুলোতে করোনা সংক্রমণ বাড়বে, এমন পূর্বাভাষ সত্ত্বেও ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে৷ বিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় একের পর এক দেশে লকডাউন ঘোষণা করতে হচ্ছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সরকারের ব্যর্থতাকেই এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছে৷ সংস্থার জরুরি অবস্থার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইকেল রায়ান বলেন, মূলত কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ঠিকমতো কার্যকর করা হচ্ছে না বলেই উত্তর গোলার্ধে সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে চলেছে৷

এদিকে সোমবার আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলস করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আবার লকডাউন ঘোষণা করেছে৷ আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন বুধবার রাত থেকে ‘স্টে অ্যাট হোম’ নির্দেশ কার্যকর করছেন৷ সরকারি এই বিধিনিয়মের আওতায় অতি প্রয়োজনীয় ব্যবসাবাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্র বন্ধ থাকবে৷ তবে স্কুল খোলা রাখা হবে৷

দুই সপ্তাহের জন্য ‘ফায়ারব্রেক’ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে ব্রিটেনের ওয়েলস প্রদেশে৷ এর ফলে অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে যেতে পারবেন না৷ ঘরে-বাইরে মানুষের মেলেমেশাও সীমিত রাখতে হবে৷

জার্মানিরবাভেরিয়া রাজ্যের একটি জেলায় লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে৷ ফলে ব্যারশ্টেসগার্ডেনার লান্ড এলাকার মানুষ মঙ্গলবার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারবেন না৷ প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ২৭২ জনেরও বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ এমন চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে৷ স্কুল, রেস্তোরাঁ, বার, সিনেমা-থিয়েটার, জিম, হোটেল ইত্যাদি বন্ধ রাখা হচ্ছে৷ জার্মানির অন্য কিছু প্রান্তেও সংক্রমণের হার বাড়ছে৷ ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের অভাবে দেশজুড়ে এখনো খুব বেশি কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ আবার কিছু ক্ষেত্রে আদালতের হস্তক্ষেপের কারণে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হচ্ছে৷

ইউরোপের অন্য অনেক দেশও করোনা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে৷ বেলজিয়াম সোমবার থেকে এক মাসের জন্য বার ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছে৷ গত সপ্তাহে সে দেশের হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে৷ ইটালিও একই পদক্ষেপ নিয়ে মানুষকে যতটা সম্ভব ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে৷ পোল্যান্ডের প্রায় অর্ধেক অংশ ‘রেড জোন’ হয়ে ওঠায় রাজধানী ওয়ারশ-র জাতীয় স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে৷ সুইজারল্যান্ডে বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে৷ গত সপ্তাহ থেকে প্যারিসসহ ফ্রান্সের নয়টি শহরে সারারাত কারফিউ জারি করা হচ্ছে৷

এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে আয়ারল্যান্ড
সরে দাঁড়াচ্ছেন আয়ারল্যান্ডের প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
২০৩২ সাল পর্যন্ত জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh