ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের আপত্তি
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান মিশেল বাসেলেট বলেছেন, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড যথার্থ নয়। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের একটি আদালত গণধর্ষণের এক মামলায় পাঁচজনের ফাঁসির রায় দেয়ার পর বাসেলেট এই মন্তব্য করলেন।
এক বিবৃতিতে বাসেলেট বলেছেন, যারা এ ধরনের বীভৎস কাজ করে তাদের ওপর কঠোর শাস্তি আরোপ প্ররোচনামূলকও হতে পারে। তবে এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের আরও অপরাধ করার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারি না।
সম্প্রতি ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করে আইন সংশোধন করে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ বলছে, শুধু বাংলাদেশ নয় আরও বেশকিছু দেয় ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড করেছে।
বাসেলেট বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তান ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি এবং খোঁজা করে দেয়ার মতো বিধান তৈরি করেছে। এমনকি নাইজেরিয়া কাদুনা গত মাসে আইনে সংশোধন করেছে, এর ফলে ১৪ বছরের নিচে কেউ ধর্ষণের শিকার হলে ধর্ষককে অপারেশনের মাধ্যমে খোঁজা করার বিধান রয়েছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রধান বলেন, মৃত্যুদণ্ডের নেপথ্যে যুক্তি হলো যে, এটা ধর্ষণের মাত্রা কমিয়ে আনবে; কিন্তু এমন কোনো প্রমাণ নেই যে, অন্যান্য শাস্তির তুলনায় মৃত্যুদণ্ড কোনও অপরাধের মাত্রা কমিয়ে আনতে পেরেছে।
তিনি বলেন, প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, সর্বোচ্চ শাস্তি নয় দ্রুততার সঙ্গে বিচার কার্যকর করা গেলেই অপরাধের মাত্রা কমে আসে। জাতিসংঘের শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, বেশিরভাগ দেশে মূল সমস্যা হলো- যৌন সহিংসতার শিকার মানুষের অগ্রাধিকারভিত্তিতে আদালতে বিচার পাওয়ার সুযোগ নেই।
এ
মন্তব্য করুন