আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
নাগোর্নো-কারাবাখের দখলকে কেন্দ্র করে আজারবাইজানের সঙ্গে চলমান সংঘাতে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর অনেকে হতাহত হয়েছেন বলে স্বীকার করলেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনইয়ান।
তবে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী এখনও ঐ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার টেলিভিশনে প্রচারিত হওয়া এক ভাষণে পাশিনিয়ান বলেন, আর্মেনিয়ার 'বহু হতাহত' হয়েছে। আমি আমাদের সকল ভুক্তভোগী, শহীদ, তাদের পরিবার, অভিভাবক, বিশেষ করে শহীদদের মায়েদের উদ্দেশ্যে নতজানু হয়ে সম্মান জানাই। তাদের এই ক্ষতিকে আমি আমার ও আমার পরিবারের ব্যক্তিগত ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করছি। আমাদের সবার জানা প্রয়োজন যে আমরা একটা কঠিন পরিস্থিতি পার করছি।
এদিকে, চলমান এই যুদ্ধ বন্ধ করতে তুরস্ক ও রাশিয়ার নেতারা দুই দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
১৭০০ বর্গমাইলের পর্বাতঞ্চল-নাগোর্নো-কারাবাখের মালিকানা নিজেদের দাবি করে গত চার দশক ধরে এই দুই দেশ দ্বন্দ্বে লিপ্ত। যদিও নাগোর্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের বলেই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণ করে জাতিগত আর্মেনিয়ানরা।
বর্তমানে ঐ অঞ্চলকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যে চলমান সহিংসতা শুরু হয় গেল ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে। দুই দেশেরই শত শত মানুষ রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন। গত কয়েক দশকের মধ্যে নাগোর্নো-কারাবাখকে নিয়ে এটিই সবচেয়ে বড় রক্তক্ষয়ী সংঘাত।
গেল সপ্তাহে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুই দেশ যুদ্ধবিরতি চুক্তি করলেও তা খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
৮০'র দশকের শেষে এবং ৯০'এর দশকের শুরুতে এই অঞ্চলের দখলকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে দুই দেশ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও তারা কখনোই স্থায়ীভাবে শান্তি চুক্তি করতে পারেনি।
আরও পড়ুন:
নির্বাচনের আগে নেচে ভাইরাল ট্রাম্প (ভিডিও)
যুদ্ধের জন্য সেনাকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিলেন জিনপিং
লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মানি না: চীন
এম
মন্তব্য করুন