ফিলিস্তিনিরা অকৃজ্ঞ জাতি: আমিরাত
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তি করার পর তীব্র সমালোচনার মুখে ফিলিস্তিনিদেরকে অকৃতজ্ঞ জাতি বলে মন্তব্য করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ফ্রান্সে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহারাইনকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তির জন্য কঠোর সমালোচনা করেন। এরপর ফিলিস্তিনিদেরকে অকৃতজ্ঞ জাতি বললো আমিরাত।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ তার টুইটার অ্যাকাউন্টে আরবি ভাষায় লিখেছেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্য এবং সমালোচনায় আমি মোটেই অবাক হইনি, কারণ তারা অকৃতজ্ঞ জাতি।
এর আগে ফ্রান্সে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত সালমান আল-হারফি ফ্রান্সের একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরায়েলের চেয়েও বেশি ইসরায়েল হয়ে গেছে এবং তারা মূলত জাতিসংঘ সনদকে লঙ্ঘন করছে।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে তিনি মোটেই অবাক হননি; কারণ বহু আগে থেকেই ফিলিস্তিনিদেরকে ত্যাগ করেছে আমিরাত এবং তারা ইসরায়েলের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক রক্ষা করে আসছিল।
আল-হারফি বলেন, নতুন যা হয়েছে তা হচ্ছে প্রকাশ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা এবং আমি তাদেরকে তাদের আসল চেহারা প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ দেবো।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রকৃতপক্ষে কখনোই সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিলিস্তিনের পক্ষে ছিল না বরং তারা ১৯৮৫ সালে ফিলিস্তিনে সম্পদ আটক করেছিল। সালমান আল-হারফি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসকদের সমালোচনা করে বলেন, যুবরাজ জায়েদ আল-নাহিয়ান স্বৈরশাসকের মতো কাজ করছেন এবং নিজে পরিচিতি পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি আগুন নিয়ে খেলছেন।
আল-হারফি সুস্পষ্ট করে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক বিনা যুদ্ধে ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহারাইন আরব লীগ এবং জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘন করেছে।
এ/এম
মন্তব্য করুন