• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় একমত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন

আরটিভি নিউজ

  ১৩ অক্টোবর ২০২০, ১০:৫৫
Flags of Russia and the European Union
রাশিয়া ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পতাকা

বিরোধী নেতা নাভালনিকে বিষ দিয়ে মারার চেষ্টার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে ইইউ (ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন)। ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে মতৈক্য হয়েছে।

লুক্সেমবার্গে বৈঠকে বসেছিলেন ইইউ-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেখানে ২৭ মিনিটের আলোচনাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছেন তারা। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দিয়েছে ইইউ।

সপ্তাহখানেক আগেই জার্মানি ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রিপোর্ট দিয়েছিলেন যে, রুশ সরকার নাভালনিকে বিষপ্রয়োগ করে মারতে চেয়েছিল। তাদের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে এখন কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

তবে নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হচ্ছে না। কারণ এর খসড়া তৈরি হবে। আইনজ্ঞরা তা বিচার করবেন। ২৭টি ইইউ দেশ তা মেনে নেবে। তারপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

জার্মানি ও ফ্রান্সের মতে, রুশ কর্তৃপক্ষ জড়িত না থাকলে নাভালনিকে বিষ দেয়া সম্ভব হতো না। মস্কো এর কোনো যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, নাভালনিকে বিষপ্রয়োগের ফল পেতে হবে রাশিয়াকে। এর জন্য জার্মানি ও ফ্রান্স চায় দায়ী কিছু ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হোক।

মূলত পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বী নাভালনি! তিনি ছিলেন আইনজীবী। এই পেশা থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। বর্তমানে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিনকে। এর শুরু বেশ আগে। ২০০৮ সালে রাশিয়ার রাজনীতি আর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর অপকর্ম নিয়ে ব্লগ লিখে রাতারাতি আলোচনায় আসেন নাভালনি। তার লেখা ব্লগের কারণে অনেকে পদত্যাগ পর্যন্ত করতে বাধ্য হন। যা ছিল রাশিয়ার রাজনীতির বিরল ঘটনা।

আলেক্সি নাভালনি

মস্কোর স্টেট ডুমায় সরকার বিরোধী মিছিল-সমাবেশ করার অভিযোগে ২০১১ সালে প্রথম নাভালনি কারাগারে যান। সেখানে ছিলেন ১৫ দিন। তখন পুতিনের ‘ইউনাইটেড রাশিয়া’ নির্বাচনে জয় পায় কিন্তু ভোট কারচুপির অভিযোগ আনা হয় পুতিনের বিরুদ্ধে। কারাগারে রেখেও দমানো যায়নি নাভালনিকে। বের হয়ে এসে আবারো চাঙ্গা করেন পুতিন বিরোধী আন্দোলন।

২০১২ সালে পুতিন পুননির্বাচিত হলে রাশিয়ার তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দেন নাভালনির অতীত খুঁজে বের করতে। তখন দ্বিতীয় দফায় কারাগারে যান নাভালনি। আত্মসাতের অভিযোগ মাথায় নিয়ে জেল খাটেন পাঁচ বছর।

এরপর তার নাভালনির ওপর বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত আসে। বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হন তিনি। বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনে দাঁড়ালেও জয়লাভ করতে পারেননি তিনি। তবে নিয়মিত গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। গেল বছরের শুরুর দিকে এক মাস জেল খেটেছেন নাভালনি। তার কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারো গ্রেপ্তার হন তিনি। গেল সেপ্টেম্বরে জামিন পান। এ বছরের এপ্রিলে, তার পক্ষে রুল জারি করে ইউরোপের মানবাধিকার কোর্ট। বলা হয়, কিরভ মামলায় ২০১৪ সাল থেকে এক প্রকার গৃহবন্দি রেখে নাভালনির অধিকার হরণ করেছে রাশিয়া।

১০ দিন জেল খেটে বের হবার পর সাতদিনও কাটেনি। এ বছরের জুলাইতে আবারও গ্রেপ্তার হন তিনি। রাশিয়ার কঠোর প্রতিবাদ আইন ভঙ্গের অভিযোগে আবারও ৩০দিনের জন্য জেলে যেতে হয়। কারাগারে তার শরীরে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ তুলেছেন পুতিন বিরোধী এই রাজনীতিবিদ।

সূত্র- ডিডব্লিউ

জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
‘এক বন্ধুকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না’
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় নিহত ১৭, শিশুসহ আহত ৬০
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিল ইইউ
X
Fresh