ভুটান সীমান্তে তৎপর চীন, অনুপ্রবেশের অভিযোগ
লাদাখ এবং দক্ষিণ চীন সাগরের পরে চীনের নজর ভুটান সীমান্তে। এ মাসেই সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বেইজিং-থিম্পু ২৫তম রাউন্ডের বৈঠক হতে পারে।
এর আগেই চীন-ভুটান সীমান্তের মধ্য ও পশ্চিম সেক্টরে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ‘তৎপরতা’র খবর মিলেছে। শুধু তাই না, ভুটানের ভূখণ্ডে চীনা আর্মির অনুপ্রবেশের অভিযোগ এসেছে।
এ বছরের শুরুতে ২৫তম রাউন্ডের বৈঠকের কথা থাকলেও বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে যায়। আসন্ন সীমান্ত বৈঠকের আগে চীনা সেনা বাহিনীর এই গতিবিধিতে উদ্বিগ্ন থিম্পু।
এদিকে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, বৈঠকের আগে ভুটানকে চাপে রাখতেই চীনের এই কৌশল। ২০১৭ সালে ডোকলাম মালভূমিতে ভারত ও চীনা সেনার টানা ৭৩ দিনের ‘স্ট্যান্ড অফ’ পর্বে নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়িয়েছিল ভুটান। তাই এ ক্ষেত্রে ভারতের বন্ধুরাষ্ট্রকে ‘শিক্ষা’ দেয়ার মনোভাবও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিম সেক্টরের ৩১৮ বর্গ কিলোমিটার এবং মধ্য সেক্টরের ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার ভুটানের ভূ-খণ্ড চীন দাবি করছে। ডোকলাম মালভূমির কিছু অংশও এর মধ্যে রয়েছে। ২০১৭ সালের পরেও সেখান থেকে চীনা বাহিনী সরেনি বলে অভিযোগ। সিকিম সীমান্ত লাগোয়া ভুটানের ওই ভূ-খণ্ডে ঢুকে চীনা বাহিনী নিয়মিত টহলদারি চালানোর পাশাপাশি সামরিক অবকাঠামো বানিয়েছে বলেও ভারতীয় সেনা এবং রয়্যাল ভুটান আর্মি সূত্রের খবর।
ডোকলামের ঘটনার পরে পশ্চিম সেক্টরে ভুটানের পাঁচটি এলাকায় চীনা বাহিনীর অনুপ্রবেশের খবর মিলেছে। এর মধ্যে চুম্বি উপত্যকার পূর্ব ভুটানের প্রায় ৪০ কিলোমিটার অন্দরে ঢুকে তারা রাস্তা এবং হেলিপ্যাড বানিয়েছে বলে অভিযোগ। ভুটানের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত ১৩ এবং ২৪ আগস্ট তোর্সা নালার মূলধারা (ডোলং চু) পার হয়ে ভুটানে ঢোকে চীনা বাহিনী। এরপর তারা দক্ষিণ ডোকলামে রাজা-রানি হ্রদের তীর থেকে ভুটানি পশুপালকদের তাড়িয়ে দেয়।
সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা।
আরও পড়ুন
এম
মন্তব্য করুন