• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

যেভাবে হত্যার আগে থেকেই হুমকি দেয়া হচ্ছিল খাসোগজিকে 

আরটিভি নিউজ ডেস্ক

  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২৩:৪৭
যেভাবে হত্যার আগে থেকেই হুমকি দেয়া হচ্ছিল খাসোগজিকে
জামাল খাসোগজি ।। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাসোগজিকে হত্যার কয়েক মাস আগে থেকেই অনলাইনে তাকে লক্ষ্য করে হুমকি-ভীতি প্রদর্শন-হয়রানি চলছিল।

মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে যেখানে খাসোগজি নিয়মিত লিখতেন, সাংবাদিক জন ওয়ারিক লিখছেন, আরবি সামাজিক মাধ্যমে জামাল খাসোগাজির সমালোচকের অভাব ছিল না।

২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরের সেই বীভৎস হত্যাকাণ্ডের আগের কয়েক মাসে সেইসব পোস্টের ভাষা-মেজাজ বদলে যাচ্ছিল।

‘খাসোগজি, এটাই তোমার শেষের শুরু’ - ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এক পোস্টে লেখা হয়েছিল- ‘জাতির বিরুদ্ধে তোমার উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের হিসাব রাখা হচ্ছে, খুব শিগগিরই তোমার শাস্তি হবে।’

অনেক পোস্টেই তাকে প্রচ্ছন্নভাবে হত্যার হুমকি দেয়া হতো। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে কটি পোস্টে বলা হয়- ‘ইনশাল্লাহ, তার মুখোশ খুলে যাবে, আমরা খাসোগজিকে হাতে পাবো।’

একটি পোস্টে দেয়া হয় প্রতীকী অর্থপূর্ণ সৌদি রূপক কাহিনী। এটি একটি ষাঁড়ের গল্প - যে নিজের শিং দিয়ে মাটি খুঁড়ে একটি ছুরি তুলে আনে, আর তার মালিক সেই ছুরিটি দিয়েই তাকে জবাই করে। দৃশ্যত: এর অর্থ, খাসোগজি নিজেই তার হত্যার জন্য কর্তৃপক্ষের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছেন। তার পর লেখা হয় ‘একটি ষাঁড় নিজের শিংএ নিজেই গেঁথে গেছে।’

প্রভাবশালী সৌদিরা তাকে টুইটারে 'চরমপন্থি', 'অপরাধী' এবং একটি 'গাধা' বলে সম্বোধন করছিলেন। এসব পোস্ট তৎক্ষণাৎ অন্য টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে রিটুইট করা হতো, ছড়িয়ে পড়তো বহু লোকের মধ্যে- যার কোনও কোনটি ছিল সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত।

খাসোগজি নিজেও খেয়াল করেছিলেন যে তার ফেলে আসা মাতৃভূমির দিক থেকে তার প্রতি মনোযোগের পরিমাণ হঠাৎ করেই যেন বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে তিনি যেসব নিবন্ধ লিখতেন, তার সমালোচনা করে যেসব কথাবার্তা লেখা হচ্ছিল তার ভাষা ক্রমশই যেন আরও বেশি কর্কশ হয়ে উঠছে বলে দেখা যাচ্ছিল, দেখা যাচ্ছিল ব্যক্তিগত আক্রমণ। অনেক বার্তায় জামাল খাসোগজিকে বর্ণনা করা হয় 'আরব ভিলেন' এবং 'দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতাকারী' হিসেবে। অন্য কয়েকজন তাকে 'সন্ত্রাসবাদী', 'আল-কায়েদা বা ইসলামিক স্টেটের সমর্থক', সৌদি আরবের প্রধান প্রতিপক্ষ কাতার এবং ইরানের 'বেতনভুক এজেন্ট' বলে বর্ণনা করেন।

টুইটারে অন্য অনেক আরবি অ্যাকাউন্ট এসব পোস্ট রিটুইট করে সৌদি আরব এবং উপসাগরের অন্য সব দেশে ছড়িয়ে দিতো। কিছু একাউন্ট দেখেই বোঝা যেতো যে এগুলো ভুয়া স্বয়ংক্রিয় একাউন্ট- যাদের বলা হয় 'বট' এবং এগুলো সামাজিক মাধ্যমে বার্তা ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয়, বলছেন জাক শুইটৎস্কি - যিনি এসব পোস্টে সাইবার-ফরেনসিক বিশ্লেষণের কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

এসব প্রচারণা শুরুর মাস দশেক পরেই খাসোগজিকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় দায়ে সৌদি আরবে এক বিচারের পর পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। তবে সোমবার আদালত তাদের ভাষায় এক 'চূড়ান্ত রায়ে' সেই দণ্ড পরিবর্তন করে তাদের ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। কাদেরকে বিচার করা হলো বা দণ্ড দেয়া হলো তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে যে এরা সবাই সেই ঘাতক দলটির সদস্য - যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে বিমানে করে ইস্তাম্বুল গিয়েছিল।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই হত্যাকাণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন এমন জোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ। তবে যুবরাজ সালমান বারবারই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য, কিছু দুর্বৃত্ত কর্মকর্তা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

জামাল খাসোগজি ২০১৭ সালের শেষ দিক থেকে ওয়াশিংটন পোস্টে তার কলামগুলোতে খোলাখুলিই তার দেশে রাজনৈতিক সংস্কারের আহ্বান জানাচ্ছিলেন। সে সময়ই খাসোগজি তার বন্ধুদের কাছে বর্ণনা করেছিলেন, সৌদি আরবের বিভিন্ন টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে কিভাবে তার উদ্দেশ্যে ঘৃণা, বিদ্রূপ ও হুমকি সম্বলিত নানা মন্তব্য ও বার্তা প্রকাশ করা হচ্ছে।

খাসোগজি এতে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত এবং তার নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন।

খাসোগজির বিশ্বস্ত বন্ধু ম্যাগী মিচেল সালেম জানান, ‘তিনি প্রতিদিন কাঁদতেন, তিনি বেদনার্ত হয়ে পড়েছিলেন।’

সালেম আরও বলেন, ওই সময় খাসোগজি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতে অবস্থান করছিলেন। প্রতিদিন এই বিদ্বেষমূলক বার্তা এত বেড়ে যাচ্ছিল যে খাসোগজি ভাবতে শুরু করেছিলেন যে লেখা বন্ধ করে দেবেন কিনা।

খাসোগজি বন্ধুদের বলেছিলেন যে তার বিশ্বাস, অনলাইনে তার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারের পেছনে আছেন সাউদ আল-কাহতানি যিনি সৌদি প্রশাসনের মিডিয়া বিষয়ক পরামর্শদাতা।

ক্ষমতাধর এই লোকটির কাজ ছিল সৌদি রাজতন্ত্রের ভাবমূর্তি রক্ষা করা এবং এর সমালোচকদের কণ্ঠ রোধের প্রয়াস চালানো।

আল-কাহতানি ২০১৭ সালেই ঘোষণা করেছিলেন যেসব লোক মোহাম্মদ বিন সালমান এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাদের লক্ষ্য করে তিনি একটি "কালো তালিকা" বানিয়েছেন। খাসোগজি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক কলামে লেখেন, আল-কাহতানিই হচ্ছে ভিন্নমতাবলম্বীদের গালাগালি ও ভীতিপ্রদর্শনের সৌদি নীতির বাস্তবায়নের প্রধান ব্যক্তি, এবং তিনি ওই কালো তালিকায় নাম যোগ করার জন্য সৌদিদের আহ্বান জানাচ্ছেন।

সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী আল-কাহতানি এক বিরাট নেটওয়ার্কের নেতৃত্ব দিতেন যার লক্ষ্য ছিল খাসোগজির সুনাম নষ্ট করা। এজন্য রিয়াদের একটি 'ট্রল ফার্ম'ও ব্যবহার করা হয়েছে - যাতে কিছু সৌদি সরকারি কর্মকর্তা বেনামী টুইটার একাউন্ট ব্যবহার করে খাসোগজির নিবন্ধের সমালোচনা করতেন এবং তার চরিত্র হনন করতেন। তবে এসব তৎপরতা মূলত আরবি ভাষায় চলতো বলে তা পশ্চিমা বিশ্বের চোখে খুব একটা ধরা পড়তো না। এরকম বহু অ্যাকাউন্টই টুইটার পরে বন্ধ করে দিয়েছে।

জামাল খাসোগজি ২০১৭ সালের শেষ দিক থেকে ওয়াশিংটন পোস্টে যেসব কলাম লিখছিলেন - তাতে তিনি খোলাখুলিই তার দেশে রাজনৈতিক সংস্কারের আহ্বান জানাচ্ছিলেন। এতে আরব বিশ্বে তারকা খ্যাতি পেয়ে যান খাসোগজি- আর সৌদি নেতারা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। খাসোগজিকে তারা দেখতে থাকেন একজন 'বিপজ্জনক, উত্তেজনা সৃষ্টিকারী' হিসেবে। সৌদি প্রশাসনের এই অংশটি খাসোগজিকে এক বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে দেখতো। ওয়াশিংটন পোস্টে কলাম লেখাটাও তাদের নাখোশ করেছিল।

তার কলামগুলোতে খাসোগজি প্রিন্স সালমানের কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি লেখেন, ‘যুবরাজ সালমান সৌদি আরবকে আরও উন্মুক্ত ও সহিষ্ণু দেশে পরিণত করার কথা বলেছিলেন, কিন্তু এখন সেখানে গ্রেপ্তারের পর গ্রেপ্তার চলছে ... তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে তারা কাতারি অর্থ নিতেন এবং কাতার-সমর্থিত এক ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলেন।’

তিনি যুবরাজ সালমানের সামাজিক সংস্কারকে পুরোপুরি সমর্থন করেছিলেন, কিন্তু ভিন্নমতের প্রতি তার অসহিষ্ণুতা ও কণ্ঠরোধ নিয়ে বিতর্কের ডাক দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের উইলসন সেন্টারের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ফেলো ডেভি ওটাওয়ের মতে, এটা ছিল খাসোগজির 'সবচেয়ে বড় অপরাধ।'

মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস এক রিপোর্টে বলেছিল, খাসোগজি নাকি ওই সময়টায় 'ডেমোক্র্যাসি ইন আরব ওয়ার্ল্ড নাও' বা 'ডন' নামে একটি অ্যাডভোকেসি সংগঠন গড়ে তোলার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন - যার লক্ষ্য ছিল আরব বসন্তের মত আন্দোলনকে সহায়তা দেয়া।

অক্টোবর মাসে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পরই খাসোগজি যখন নিখোঁজ হয়ে যান, তার এক সপ্তাহ পর ৯ অক্টোবর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান - প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ও তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন।

ওয়াশিংটন পোস্ট রিপোর্ট করেছিল যে সেই ফোনালাপের সময় প্রিন্স মোহাম্মদ বলেছিলেন, খাসোগজি মুসলিম ব্রাদারহুডের একজন সদস্য।

মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের শাসকরাই মুসলিম ব্রাদারহুড নামের এই ইসলামপন্থী রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনটিকে গভীর সন্দেহের চোখে দেখে থাকেন। বিশেষ করে 'আরব বসন্ত' আন্দোলন শুরু হবার পর থেকে। ওই সময় ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে সৌদি আরব। তবে খাসোগজির পরিবার একথা অস্বীকার করেছে।

তার পরিবার এক বিবৃতিতে বলে, খাসোগজি কোনও বিপজ্জনক ব্যক্তি ছিলেন না এবং তিনি নিজেও একাধিকবার তার ব্রাদারহুডের সদস্য হবার কথা অস্বীকার করেছেন।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মুসলিম ব্রাদারহুডের কিছু লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের ব্যাপারে তার সহমর্মিতা থাকলেও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের ব্যাপারে তাদের অবস্থানের প্রশ্নে খাসোগজি কড়া দ্বিমত পোষণ করতেন।

সৌদি আরব যখন ২০১৭ সালে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তখনও তারা বলেছিল - কাতার ব্রাদারহুডের 'সন্ত্রাসীদের' আশ্রয় দিচ্ছে। সৌদি-মার্কিন সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে এসব প্রচারণা

সংবাদদাতারা বলছেন, ওই হত্যাকাণ্ডের আগের মাসগুলোতে কিভাবে জামাল খাসোগাজিকে অনলাইনে পরিকল্পিতভাবে গালাগালি এবং ভীতিপ্রদর্শন করা হচ্ছিল - তা এখন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখছেন।

কিছু মার্কিন কর্মকর্তা বলছেন, অনলাইনে ওই প্রচারণা হয়তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন ভঙ্গ করেছে এবং ওয়াশিংটন ও রিয়াদের সম্পর্কের ওপর তা গুরুতর প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে।

সৌদি আরবের সরকার জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ড বা সামাজিক মাধ্যমে তার চরিত্র হননের প্রয়াস - এর কোনটির সঙ্গেই যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

যদি এটা প্রমাণ হয় যে সৌদি-কর্মকর্তারা সামাজিক মাধ্যমে খাসোগজির বিরুদ্ধে প্রচারণার পেছনে ছিলেন, তাহলে তা সৌদি আরবে মার্কিন অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে যেসব আইন-কানুন আছে তা লঙ্ঘনের শামিল হবে।

মার্কিন কর্মকর্তা ও আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা বাসিন্দাদের হয়রানি করে তাদের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইনে স্পষ্টভাবে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রাপ্ত বিদেশি ভিন্নমতাবলম্বীদের সুরক্ষা দেয়া।

এখন, সৌদি আরব হচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা শিল্পের সবচেয়ে বড় ক্রেতাদের অন্যতম এবং প্রতি বছর শত শত কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় বিঘ্নিত হতে পারে অনলাইনে জামাল খাসোগজির বিরুদ্ধে চালানো হুমকি-হয়রানির কারণে।

যুক্তরাষ্ট্রের কিছু আইনপ্রণেতা ইতোমধ্যেই সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কঠোর হবার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের যুক্তি, শুধু জামাল খাসোগজির ক্ষেত্রেই অন্য কিছু সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী থেকে শুরু করে সৌদি নয়-এমন মার্কিন নাগরিকদের ক্ষেত্রে সৌদি আরব সীমা লঙ্ঘন করেছে।

এদের একজন নিউজার্সির ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য টম মালিনোস্কি বলেন, ‘মোহাম্মদ বিন সালমানের মত স্বৈরাচারীরা যদি তাদের সমালোচকদের হত্যা বা ভীতিপ্রদর্শন করে পার পেয়ে যায় তাহলে তা হবে খুবই বিপদজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব সরকার এমন আচরণ করে - তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ওই আইনে। আমাদের সময় এসেছে এ আইনটি প্রয়োগ করার।’ সূত্র: বিবিসি বাংলা।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh