সীমান্তে ‘উস্কানিমূলক’ গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সেনারা, দাবি চীনের
চীন অভিযোগ করেছে, ভারতের সৈন্যরা অবৈধভাবে বিতর্কিত সীমানা পার হয়ে তাদের টহলরত সৈন্যদের ওপর ‘উস্কানিমূলক’ গুলি করেছে। চীনের সেনারা ‘পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন একজন সামরিক মুখপাত্র। কিন্তু সেসব ব্যবস্থা কি, তা জানানো হয়নি।
গত ৪৫ বছরের মধ্যে সম্ভবত এই প্রথম ওই এলাকায় গুলি ছোড়া হলো। সেটা হলে দুই দেশের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার সমঝোতা রয়েছে, সেটার লঙ্ঘন হবে। সাম্প্রতিক সময়ে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছে।
পিপলস লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল ঝ্যাং শুইলিকে উদ্ধৃত করে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, ভারতীয় সৈন্যরা ‘বেআইনিভাবে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) অতিক্রম করে শেনপাও পাহাড়ি এলাকায় প্যানগং সো লেকের দক্ষিণ তীরে প্রবেশ করেছে।’
ভারতের এই পদক্ষেপ ‘দুই পক্ষের সমঝোতার গুরুতর লঙ্ঘন, ওই এলাকায় উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে, যা সেখানকার প্রকৃতির জন্য খুবই ক্ষতিকর’, বলছেন কর্নেল ঝ্যাং। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
চীন ও ভারতের মধ্যে ১৯৯৬ সালের একটি সমঝোতা অনুযায়ী, লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে কোন দেশই আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক বহন করবে না। তবে সৈনিকদের মধ্যে অতীতেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
পিপলস লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র আরও দাবি করেছেন, ভারতের উচিত ‘অতিসত্বর তাদের বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা, যারা এলওসি অতিক্রম করেছে, তাদের সরিয়ে নেয়া, আর যারা উস্কানিমূলক গুলি করেছে, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।’
বিতর্কিত সীমান্ত এলাকার কাছ থেকে পাঁচজন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করা হয়েছে, এরকম খবরে চীনের কর্মকর্তাদের ভারত সতর্ক করার একদিন পরেই এই উত্তেজনার পরিস্থিতির তৈরি হলো।
জুন মাস থেকে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে যখন লাদাখ অঞ্চলে দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, তাদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, সীমান্ত বিরোধ অবসানে গত তিন দশকে দুই দেশের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। তবে দুই দেশ মাত্র একবারই ১৯৬২ সালে যুদ্ধে জড়িয়েছিল, যেখানে ভারতের বড় ধরনের পরাজয় হয়েছিল।
আরও পড়ুন
এ
মন্তব্য করুন