করোনায় মৃত্যু হয়নি কারও, তবুও ভুটানে লকডাউন
প্রথমবারের মতো দেশজুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে ভুটান। মঙ্গলবার দেশটির সরকার এ নির্দেশ দেয়। একজন বিদেশ ফেরত বাসিন্দা শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর তাকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। কিন্তু রাজধানী থিম্পুর মানুষজন তার সংস্পর্শে আসায় এই লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
সবমিলিয়ে দেশটিতে এ পর্যন্ত ১১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কম। তবে এখনও পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।
ভুটান ব্যাপকভাবে পর্যটক নির্ভর একটি দেশ। কিন্তু মার্কিন এক পর্যটকের শরীরে করোনা ধরা পড়ার পর গত মার্চে পর্যটন নিষিদ্ধ করে ভুটান। এছাড়া বিদেশ ফেরত সবার জন্য তিন সপ্তাহের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের আদেশ জারি করে কর্তৃপক্ষ।
কুয়েত ফেরত ২৭ বছর বয়সী একজন ভুটানি নারী কোয়ারেন্টিনে করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু গত সোমবার একটি ক্লিনিকে পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা ধরা পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন জারি করে ভুটানি কর্তৃপক্ষ।
ভুটানের সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, তাৎক্ষণিকভাবে ট্রান্সমিশনের চেইন ভাঙতে সব পজিটিভি রোগীকে শনাক্ত এবং আইসোলেট করার জন্য এই লকডাউন জারি করা হয়েছে। এর ফলে ৭ লাখ ৫০ হাজার বাসিন্দার দেশটির জনগোষ্ঠীর চলাফেরা এবং যান চলাচলে সীমিত হয়ে পড়বে। সবাইকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া স্কুল, ইন্সটিটিউট, অফিস এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে লকডাউনের এই সময়। স্থগিত করা হয়েছে সব পরীক্ষাও। আর যেসব শিক্ষার্থী এবং ট্রেইনি বোর্ডিংয়ে আছে, তাদের ক্যাম্পাসে থাকতে এবং করোনার প্রোটোকল মেনে চলতে বলা হয়েছে।
এ
মন্তব্য করুন