বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৬ জন গ্রেপ্তার
লেবাননের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী বৈরুতের বন্দরে গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তের অংশ হিসেবে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেনা আদালতে সরকারের একজন মুখপাত্র বিচারক ফাদি আকিকি বলেছেন, ওই গুদামঘরের ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ১৮ কর্মী, বন্দরের কর্মকর্তা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। উচ্চ মাত্রায় বিস্ফোরক দ্রব্য থাকা ওই গুদামে মঙ্গলবার বিস্ফোরণ ঘটে। খবর দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের।
আকিকির বরাত দিয়ে লেবাননের রাষ্ট্র পরিচালিত ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, তদন্তের অংশ হিসেবে ১৬ জনকে কাস্টডিতে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে পোর্টের জেনারেল ম্যানেজারও রয়েছেন।
মঙ্গলবারের ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে অন্তত ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। আর নিখোঁজ রয়েছে কয়েক ডজন মানুষ।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন জানান, পোর্টের একটি গুদামে অপনিরাদভাবে মজুদ করে রাখা ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ২০১৩ সালে একটি কার্গো শিপ থেকে ওই রাসায়নিক দ্রব্য জব্দ করার পর থেকেই সেগুলো বন্দরের গুদামে রাখা ছিল।
---------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: বৈরুতের বিস্ফোরণকে স্রষ্টার ‘উপহার’ বললেন ইসরায়েলের সাবেক এমপি
---------------------------------------------------------------
এই বিস্ফোরণ নিয়ে এখনও খুব বেশি জানা না গেলেও ঘটনার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে, এটা বোমা হামলা ছিল বলে তাকে জানিয়েছেন কয়েকজন জেনারেল।
এছাড়া মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক একজন কর্মকর্তা রবার্ট বায়ের বলেছেন, তিনি মনে করেন সেখানে সামরিক গোলাবারুদ উপস্থিত ছিল। তিনি বলেন, আমার ধারণা সেটা একটা অস্ত্রের গুদাম হয়ে থাকতে পারে; কিন্তু সেগুলোর মালিক কে ছিল তা স্পষ্ট নয়।
বায়ের বলেন, সেখানে স্পষ্টভাবে সামরিক বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল। এটা সার তৈরির অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মতো নয়। এ ব্যাপারে আমি অনেকটাই নিশ্চিত। আগুনের যে হলুদ বল দেখা গেছে এবং এটা স্পষ্টভাবে, যেমনটা আমি বলছি, একটি সামরিক বিস্ফোরণের কারণেই হয়েছে।
এ
মন্তব্য করুন