‘মাংসে শুধু সিল মাইরা দেয়’
রাজধানীতে গরু-মহিষ বা ছাগলের মাংসে কেবল সনাক্তকরণ সিল দিয়েই দায় সারছে সিটি করপোরেশন। পশু জবাইয়ের আগে তাই সিটি করপোরেশনের তদারকির দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
অন্যদিকে শুধু আইনের প্রয়োগ নয়, ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
রাজধানীতে পশুর মাংসের প্রতারণা নিয়ে চলছে নানা ধরনের জালিয়াতি।
গরু-মহিষ কিংবা ছাগল-খাসি। সব পশু জবাই ও মাংস বাজারজাত করতে সনাক্তকরণ সিল দেয়া সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। অথচ শুধু সিল দিয়েই দায় সারছেন তারা। সনাক্তকারীর কোনো হদিসই পাওয়া যায়নি।
এছাড়া জবাইয়ের সময় একজন পশু ডাক্তার ও প্রশিক্ষিত জবাইকারী থাকার কথা থাকলেও কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাদের।
পশু ব্যবসায়ী আরাফাত হোসেন বলেন, পশু জবাইয়ের সময় শুধু দেখে যাচ্ছে সিটি করপোরেশনের লোকজন। পশু জবাইয়ের আগেই তারা পশু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চলে যায়।
মাংস বিক্রেতাদের অভিযোগ, সনাক্তকারীরা মাঝে মাঝে এসে শুধু মাইরা যায়। সিলের জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়ে যায়। কোনও দিন আবার সিলও মারেন না।
পশু ব্যবসায়ী মাজহার হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশনের লোকজন রাতে এসে শুধু জেনে যায় কয়টা পশু জবাই হবে। সকালবেলা সিটি করপোরেশনের লোকজন সিল দিয়ে যায়। আর পঞ্চাশ টাকা নিয়ে যায়। তারা তেমন কিছু জানতে চান না।
ক্রেতারা জানান, মাংস কেনার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করার খুব বেশি সুযোগ না থাকায় কর্তৃপক্ষের নজরদারির ওপরই আস্থা রাখতে হচ্ছে তাদের।
আরেকজন ক্রেতা মশিউর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশনের পশুর মাংস সনাক্ত করার ব্যাপারে অবহেলা আছে। যার ফলাফল ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে।
এ বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হোসেন নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, লোকবল কম থাকার কারণে আমরা বাজারে পশুর মাংসের সেভাবে মনিটরিং করতে পারি না। তবে এটা আস্তে আস্তে উন্নত হবে।
শুধু আইন প্রয়োগ করে নয়, বিক্রেতা ও ক্রেতাদেরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন :
- রাতের আঁধারে মহিষ হয়ে যাচ্ছে গরু(ভিডিও)
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ধর্মীয় নিয়ম মেনেই কি জবাই হচ্ছে পশু?(ভিডিও)
আরসি/এসআর
মন্তব্য করুন