• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ধর্মীয় নিয়ম মেনেই কি জবাই হচ্ছে পশু?(ভিডিও)

সোহেল রানা

  ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৪৯

কোনও পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ ধর্মীয় নিয়ম মানার কথা। কিন্তু রাজধানীতে কজনই বা এই নিয়ম মেনে পশু জবাই করছে?

সরেজমিনে দেখা গেছে, পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষা তো দূরের কথা, কোন নিয়মই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। উল্টো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করছেন ব্যবসায়ীরা।

একটি গরু কিংবা মহিষ অনায়াসেই জবাই করে ফেলছেন মাত্র দুই জন মানুষ। কতটা অমানবিকভাবে পশু জবাই করা হচ্ছে তা রাজধানীর জবাইখানাগুলোতে গেলেই দেখা যায়। জবাইয়ের আগে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ডাক্তার আর ধর্মীয় রীতিনীতি মানতে একজন দক্ষ জবাইকারী থাকার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না কোথাও।

রাজধানীর মাংস ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের লোক আসলে শুধু তারা এসে পশুর গায়ে সিল দেয়। কয়টা পশু জবাই হবে এটা জেনেই চলে যায়। সিটি কর্পোরেশনের লোকজন দায়সারা কাজ করে।

‘বরং আমরা অনেক দায়িত্বের সাথে আল্লার নামে পশু জবাই করি। সুস্থ পশু ছাড়া আমরা জবাই করি না। এটা আমরা নিজ দায়িত্বে পরীক্ষা করি।’

সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত জবাইখানাগুলোতে নিয়ম মানা হলেও চলছে নোংরা পরিবেশে পশু জবাই।

অপর এক মাংস ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, বাজারে আমরা অনেক স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে আমরা পশু জবাই করি। নাজিরা বাজারে এর থেকেও খারাপ নোংরা পরিবেশে পশু জবাই করা হয়। আমরা পশু জবাইয়ের পর জায়গা পরিষ্কার করে ফেলি।

উত্তর সিটি কর্পোরেশনে কসাইখানা রয়েছে মাত্র তিনটি। আছে লোকবল সংকটও। ফলে সবগুলো মার্কেটে গিয়ে পশু তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানালেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

এদিকে পশু জবাইয়ের বিষয়টি সিটি করপোরেশনের দেখভাল করার কথা। কিন্তু তারা বলছে, জবাইখানা সংকটের কারণেই তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে না।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হোসেন বলেন, জবাইখানার সংকট থাকার কারণে বাজারে জবাই হচ্ছে পশু। লোকবলের সংকট থাকার কারণে প্রতিটা বাজারে গিয়ে তদারকি করাও সম্ভব হচ্ছে না। তবে পর্যাপ্ত জবাইখানা থাকলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে এই পশু জবাই বন্ধ হয়ে যাবে।

স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে পশু জবাই করা না হলে তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে জানালেন পুষ্টিবিদ অধ্যাপক খালেদা ইসলাম।

তিনি বলেন, আমরা যে মোটাতাজা পশু দেখি। এগুলো বেশিরভাগক্ষেত্রে শরীরে পানি থাকে। এগুলো ভালো করার জন্য কেমিক্যাল দেয়া হয়। যেগুলো মাংসের মধ্য দিয়ে মানুষের শরীরে প্রবাহিত হয়। যেগুলো বাচ্চাদের জন্য বেশ ক্ষতিকর।

বাজার থেকে মাংস কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদেরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।

আরও পড়ুন :

আরসি/এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঢাবিতে ছাত্রলীগের ‘গেস্টরুমে’ অচেতন শিক্ষার্থী, তদন্ত কমিটি গঠন
শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে নতুন নিয়ম চালু
‘ইনস্যুরেন্স পাঠ্যক্রম যুগোপযোগীকরণে অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল
ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh