ক্ষতিপূরণ না দিয়েই এলিভেটেড এক্সপ্রেসের উচ্ছেদের কাজ শুরুর অভিযোগ (ভিডিও)
আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট
| ১৮ জুলাই ২০১৮, ১০:২১ | আপডেট : ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৩:২২

আরও পড়ুন : বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা (ভিডিও)
-------------------------------------------------------- নিতিমালায় লেখা রয়েছে, ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং বড় ব্যবসায়ীদের এককালীন টাকা হিসাবে তিন মাসে ধাপে ধাপে টাকা দেয়া হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রতি মাসে ২০, মাঝারি ব্যবসায়ী ৫০ এবং বড় ব্যবসায়ীদের ৭৫ হাজার টাকা দেয়া হবে। এছাড়াও তাদের মার্কেট স্থানান্তর করে দেয়া হবে। এই সব নিতিমালা কাগজে থাকলেও বাস্তবে কোনও কিছুই হচ্ছে না। এ ব্যাপারে গত ১৮ মাস থেকে ব্যবসায়ীরা রেল কর্তৃপক্ষ এবং সেতু বিভাগের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মিটিং করলেও আশ্বাস পাওয়া ছাড়া কোনো লাভ হচ্ছে না বলে জানান তারা। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে পিপিপি প্রকল্পের এরিয়া ম্যানেজার নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, এই ব্যাপারে কথা বলা আমার নিষেধ আছে। তেজগাঁও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সদস্য মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে এখানে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এটা আমাদের রুটি-রুজি। কোনও প্রকার ক্ষতিপূরণ না দিলে আমরা কোথায় যেয়ে দাঁড়াবো। কোথাও নতুন করে দোকান নিয়ে ব্যবসা করা আমাদের পক্ষে এখন সম্ভব না। মার্কেটের ফার্নিচারের ব্যবসায়ী হালিম ব্যাপারী আরটিভি অনলাইনকে বলেন, কারওয়ান বাজারে রেলওয়ে সংলগ্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীকে কোনও ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অথচ তেজগাঁওয়ের কলাপট্টি, মুরগিপট্টি এমনকি সেখানকার বস্তির লোকদেরকেও ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে এবং তাদের উচ্ছেদেও করা হচ্ছে না। তাহলে আমরা কি দোষ করেছি যে আমাদের সঙ্গে এমন করা হচ্ছে। তেজগাঁও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা এবং সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুস শুকুর প্রধান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, তেজগাঁও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির কাছে তথ্য রয়েছে যে, সেতু বিভাগের কাছ থেকে রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট মার্কেট স্থানান্তর করার ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা পেয়েছে। তাহলে সেই টাকা আমরা পাচ্ছি না কেন? রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এর উপ প্রশাসন হাবিবুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ এখন আমাদের মার্কেট করার জন্য কোনও জায়গা বুঝিয়ে দেয়নি। জায়গা বুঝিয়ে দিলেই আমার মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু করবো। জায়গা বুঝে না পেলে রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা কেন হস্তান্তর করলো-এমন প্রশ্ন করা হলে হাবিবুর রহমান বলেন, টাকা আমি পেয়েছি তবে সেটি আমার কাছে গচ্ছিত রয়েছে। আরও পড়ুন : আরসি/এসএস