• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঢাকার ৫০ ভাগ জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব (ভিডিও)

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১১ জুলাই ২০১৮, ১৩:৫৬

ধানমণ্ডি লেকের সঙ্গে একটি নতুন খাল সৃষ্টির মাধ্যমে হাতিরঝিলকে সংযুক্ত করা এবং এর মাধ্যমে তুরাগ ও বালু নদীর মধ্যে আন্তঃসংযোগ ঘটাতে পারলে ঢাকার ৫০ ভাগ জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য আশপাশের এলাকাগুলোর বৃষ্টির পানি সহজে এসব জলাধারে যাওয়ার পথ করে দিতে হবে।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, জলাবদ্ধতামুক্ত করতে পুরো জলাধারের মধ্যে আন্তঃসংযোগ ঘটাতে কাজ করছেন তারা।

হাতিরঝিলকে ঢাকার উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে টেকসই ও পরিকল্পিত বলা হয়। আশপাশের এলাকাগুলোর বৃষ্টির পানি যাতে সহজেই হাতিরঝিলে যেতে পারে সেজন্য শুরুতেই কিছু কাজ হয়েছিল, এখনও হচ্ছে। তারপরও দেখা যায়, ওয়্যারলেস, নয়াটোলা ও বেগুনবাড়ির কিছু পথে জলজট।

নগরবাসীরা জানান, প্রতিটি পথের পানির গতি হাতিরঝিলমুখী করা গেলে আশপাশের সব এলাকা মুক্ত থাকবে জলজট থেকে।

হাতিরঝিল থেকে পুবের যে স্রোতধারাটি বনশ্রী ও আফতাবনগরের বুক চিরে চলে গেছে সেটি নড়াই খাল। এই খালটি যুক্ত হয়েছে ঢাকার পুবের বালু নদীর সঙ্গে। হাতিরঝিল থেকে দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে ধানমণ্ডি লেক। একসময় এই দুটি জলাধার সংযুক্ত ছিল, তবে বর্তমানে এটি বিলীন পান্থপথ খালের মাধ্যমে। খালটি পুনরুদ্ধার করে ধানমণ্ডি লেকটিকে ঢাকার পশ্চিমে অবস্থিত তুরাগ নদের সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে বালু ও তুরাগের মধ্যে একটি আন্তঃসংযোগ তৈরি হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি বাস্তবায়ন করে আশপাশের সব এলাকার বৃষ্টির পানি এই জলাধারে নিয়ে আসতে পারলে ঢাকার পঞ্চাশ ভাগ জলজট কমিয়ে আনা সম্ভব।

নগরবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ধানমণ্ডি লেক ও পান্থপথের মধ্য দিয়ে একটি নতুন খাল এবং হাতিরঝিল হয়ে নড়াই খাল এই কাজটাই যদি আমরা করি, তাহলে বালু নদী থেকে বুড়িগঙ্গা পর্যন্ত একটি সংযোজিত ব্লু-নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করতে পারি আমরা। এই বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা আছে।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাসকিম এ খান বলেন, ঢাকার সবগুলো খালকে উদ্ধার করে নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করার কাজ অব্যাহত আছে। তবে সেটা সময় সাপেক্ষ। পুরো জলাধারকে একটা চ্যানেলের মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনাও আছে।

সমন্বিত পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারলে জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব বলেও মনে করেন ওয়াসার এই ব্যবস্থাপক।

এদিকে ঠাসা হচ্ছে ময়লার স্তূপ, দখল হচ্ছে খাল। যেসব খালের অস্তিত্ব আছে তার অধিকাংশেই পানির প্রবাহ নেই। প্রশস্ত খাল দখল হতে হতে সরু হয়ে যাচ্ছে। একপর্যায়ে হয়ে পড়ছে অস্তিত্বহীন। এতে স্থানীয়রা পড়ছেন বিপাকে। একটু বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাচ্ছে সবকিছু। বাড়ছে স্থানীয়দের ক্ষোভ।

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর সাংবাদিক কলোনি খালের উপর দিয়ে এখন অনেকেই হেঁটে পারাপার হয়। খেলা করে শিশুরাও। অস্তিত্বের জানান দিয়ে খালটি যতই উত্তরে এগোয়, ততই সরু হতে থাকে এর বিস্তৃতি। একপর্যায়ে হয়ে পড়ে অস্তিত্বহীন। এর শরীরেই গড়ে ওঠে বড় বড় অট্টালিকা।

যেটুকু আছে তাতে আবার ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্যে সয়লাব। সুতরাং পানিপ্রবাহ না থাকাটাই হয়ে দাঁড়ায় স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিক অবস্থাটি অস্বাভাবিক দুর্ভোগে ফেলে দিয়েছে এই এলাকার বাসিন্দাদের। তাই সরকার, বাড়ির মালিক ও দখলদারদের প্রতি চরম ক্ষোভ তাদের।

এসএস /পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও যানজট, ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী
নারায়ণগঞ্জে জলাবদ্ধতা নিরসনে এলাকাবাসীর মানববন্ধন 
X
Fresh