• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঈদে নিশ্চিতে বাড়ি ফিরতে পারবে তো মানুষ?

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৬ জুন ২০১৮, ১৩:৪০

প্রতি ঈদে সড়ক মহাসড়কে ব্যস্ততা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় দুর্ঘটনার সংখ্যাও। ঈদ আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হয় শত শত পরিবারের। যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে প্রতি ঈদে সড়ক মহাসড়ক গুলোতে ঝরে পড়ছে প্রায় আড়াইশ’ তাজা প্রাণ। আর এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ ফিটনেস বিহীন গাড়ি।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ তে ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে সড়কে প্রাণ হারিয়েছিল ১৮৬ জন। আহত হয়েছিলেন আরও ৭৪৬ জন। ২০১৭ তে ২০৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাড়ায় ২৭৪ এ। আহত হন ৮৪৮ জন।

সাধারণ যাত্রীরা বলছে, হাতে প্রাণ নিয়ে প্রত্যেক বছরেই প্রিয় জনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাই। যখন যাত্রা শুরু করি তখন জানি না ঠিকমতো বাসায় পৌঁছতে পারব কিনা। এবারো কি ঝরবে তাজা প্রাণ। আমরা নিশ্চিতে বাড়ি ফিরতে পারবেতো।

তারা অভিযোগ করেন, রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী বাস কেন ঈদের সময় বের করা হয়? কার সাহায্যে ফিটনেসবিহীন বাস রাস্তায় বের হয়, সেইসব ব্যক্তিদের বের করে বিচারের আওতায় আনা উচিত।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : সিলেট সিটি নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ
--------------------------------------------------------

এদিকে ঈদকে সামনে রেখে চলছে অচল মাল সচল করার প্রক্রিয়া। অবস্থা এমনই, গ্যারেজে জায়গা না হওয়ায় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে রাস্তায়।

প্রতি বছর ঈদে নাড়ির টানে ঢাকা ছেড়ে যায় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ মানুষ। এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছাতে শেষ সময়ে সড়ক মহাসড়ক গুলোতে ব্যস্ততা বাড়ে জ্যামিতিক হারে। স্বল্পতা দেখা দেয় যানবাহনেরও।

অল্প পূজিতে বেশি লাভের সুযোগে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ব্যস্ত সড়ক গুলোকে সামাল দিতে রাস্তায় নেমে পড়ে শত শত ফিটনেসবিহীন গাড়ি। আর বর্তমানে তারই প্রস্তুতি চলছে গাবতলী থেকে সাভার রাস্তার আশপাশের নামে বেনামে গড়ে উঠা গ্যারেজ গুলোতে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঘুণে ধরা এক একটি কঙ্কালকে ঘষেমেজে নতুনের মতো রূপ দেয়া হচ্ছে। কিছুদিন পরই নামিয়ে দেয়া হবে রাস্তায় কিন্তু এসব লক্কড়-ঝক্কর বাস কতটা নিরাপদ আর ঝুঁকি মুক্ত সে নিশ্চয়তা দিবে কে?

যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, প্রতি ঈদে অনিয়ন্ত্রিত সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে প্রাণ হারায় প্রায় আড়াই’শ মানুষ। এর জন্যে অনেকাংশে দায়ী এসব লক্কড়-ঝক্কর গাড়ি।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজ্জামেল হক চৌধুরী বলেন, এই গাড়িগুলোর যারা সংশ্লিষ্ট মালিক তারা পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে রোডে গাড়িগুলো চালান। আসলে এই বাসগুলো দূরপাল্লায় যাতায়াতের উপযোগী নয়। এই কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। আমরা বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর একটা স্মারকলিপি দিয়েছি। যেখানে আমরা দাবি করেছি ফিটনেসবিহীন বাস যেন দূরপাল্লা রুটে যাতায়াত করতে না পারে।

আরও পড়ুন :

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঈদযাত্রায় বেশি মৃত্যু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়
৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ
কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত
ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরল ৩২০ প্রাণ 
X
Fresh