• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে গণ্য করতে চান বিশেষজ্ঞরা

নাজিব ফরায়েজী

  ১৯ এপ্রিল ২০১৮, ১৩:৪৬

চালকের বেপরোয়ায় অনিরাপদ হয়ে পড়েছে সড়ক। একের পর এক দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। হাত, পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অসংখ্য মানুষ। পরিবহন মালিক ও চালকদের ঔদ্ধত্য আচরণ ও আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের কারণেই এমনটাই ঘটছে বলে মনে করছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। তারা চান সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে গণ্য করতে। তা না হলে সড়কে বন্ধ হবে না নৈরাজ্য।

সম্প্রতি রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র কারওয়ান বাজারে দুই বাসের চাপায় হাত হারানো রাজীব দুই সপ্তাহ বেঁচে থাকার লড়াই করে ১৭ এপ্রিল মৃত্যুর কাছে হার মানেন। কিন্তু রাজীবের মৃত্যুর দিনই গোপালগঞ্জে ট্রাকের ঘষায় এক হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাসযাত্রী খালিদ হাসান হৃদয়ের। তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন হৃদয়। এতে বুঝা যায় আইনকে পরোয়াও করেন না পরিবহন মালিকরাও।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিডেন্ট রিসার্স ইন্সটিটিউটের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে ২৯১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৭২ জন মারা যায়। আহত হয় আরও ৭ হাজার ৪০০ জন। আর ২০১৮ সালে প্রথম তিন মাসে ৭৯৮ টি দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় ১ হাজার ৪৯ জনের। আহত হয় আরও ২০১৫ জন।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : টিএসসি’র টয়লেটে নাকে রুমাল দিয়েও যাওয়া যায় না
--------------------------------------------------------

বিশিষ্ট গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে গণ্য না করার কারণেই সড়কে নৈরাজ্য বন্ধ হচ্ছে না। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের আচরণে পরিবহন খাতে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। এজন্য কঠোর মনিটরিং বাড়াতে হবে। পরিবহন খাতে বিশৃঙ্খলা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বড় বাধা বলে মনে করেন।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কথা হয় বাসযাত্রীদের সঙ্গে। তিনি আরটিভি অনলাইনকে অভিযোগ করেন, যেকোনো গাড়ি কোনো কারণ ছাড়া ধাক্কাধাক্কি করে। কে কাকে ছেড়ে চলে যাবে তা নিয়ে চলে তাড়াহুড়া। ওঠার সময় খেয়ালও করে না যাত্রী উঠেছে নাকি নামছে। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়া তারা রাস্তায় বের হচ্ছেন।

প্রতিনিয়ত এমন অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটলেও বেপরোয়াভাবে পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানো যেন থামছেই না। অথচ দুর্ঘটনার দায় নিতে রাজি নন চালকরা।

বাস ড্রাইভাররা বলছেন, কেউ কাউকে সাইড দিতে চাই না। যাত্রী নেয়ার জন্য এমন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হয়। জ্যামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় গাড়ি রাস্তায় আটকে থাকে। ফলে যাত্রী উঠাতে সবসময় এমন আচরণ করতে হয়।

পরিবহন খাতের নৈরাজ্যের জন্য সচেতন মহল থেকে বার বার বিআরটিএর গাফলতিকে দায়ী করলেও কর্মকর্তার কণ্ঠে একই সুর, আইন ভঙ্গকারী চালক ও মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিআরটিএ পরিচালক রোড সেফটি শেখ মাহবুব-ই-রাব্বী বলেন, বিআরটিএ একার পক্ষে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন।

পরিবহন মালিক ও চালকদের সদিচ্ছা ছাড়া কেবল আইনের প্রয়োগ দিয়ে, সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন :

এমসি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাজেকে শ্রমিকবাহী ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ৯ 
চরফ্যাশনে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
জানাজা শেষে ফেরার পথে সড়কে মা-ছেলের মৃত্যু 
সাজেকে শ্রমিকবাহী ট্রাক খাদে, নিহত ৬
X
Fresh