• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশে ভূমিকম্পে হতাহতের আশঙ্কা বেশি

শরিয়ত খান

  ৩০ মার্চ ২০১৮, ১৫:০৭

সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া এবং নিয়ম না মেনেই গড়ে উঠছে দেশের সব বড় নগরী। এতে ভূমিকম্পের মতো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগে হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছেন নগরবিদ, নির্মাণ প্রকৌশলী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, দেশের কোথাও নির্মাণের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিকল্পনা নেই।

২০১৫ সালের এপ্রিলে, নেপালে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্প কেড়ে নিয়েছিলো হাজারো প্রাণ। তখন বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের জন্যই এতটা ক্ষতি হয়েছে সেখানে।

মার্কিন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ডেভিড ওয়াল্ড এক জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের প্রভাব একেক দেশে একেকরকম হবে। এই মাত্রার ভূমিকম্প যুক্তরাষ্ট্রে হলে যদি ১০ থেকে ৩০ জন মারা যায়, পাকিস্তান, ভারত, ইরান ও চীনে তা হতে পারে ১০ হাজারের বেশি। তার মতে এই পার্থক্যের মূলে আছে অপরিকল্পিত নগরায়ন।

ডেভিড ওয়াল্ড তার জরিপে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ না করলেও এখানকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে মনে করছেন নগরবিদরা। কারণ বাংলাদেশের বড় শহরগুলো গড়েই উঠছে অপরিকল্পিতভাবে।

অধ্যাপক ড. ইশরাত ইসলাম আরটিভিকে বলেন, জলাভূমি ভরাট করে আমরা নগরায়ণ করছি সেখানে ভূমিকম্প হলে মাত্রা অনেক বেশি থাকে। শুধু তা নয় বাড়ি-ঘর নির্মাণের সময় রাস্তা ঘাট তৈরি না করায় যেকোন ঝুঁকি এড়াতে বেগ পোহাতে হবে সংশ্লিষ্টদের।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান আরটিভিকে বলেন, ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে ছয়-আট ফুট সরু রাস্তার মধ্যেই গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল ভবন। দুর্ঘটনা হলে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যাবে। অধিকমাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানলে এসব ভবনের ধ্বংসস্তুপই সরানো যাবে না দীর্ঘদিন। ফলে একেকটি শহর পরিণত হবে একেকটি মৃত্যুপুরীতে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
--------------------------------------------------------

বুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহসান কবির আরটিভিকে বলেন, নগরীগুলোর বেশিরভাগ ভবনেই ভূমিকম্পরোধক সঠিক ব্যবস্থা নেই। নেই বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বন্ধের সমন্বিত ব্যবস্থাও। ২০১০ সালে পুরান ঢাকায় রাসায়নিক গুদামে আগুন লেগে ঝরে পড়েছিল শতাধিক প্রাণ। বেশি মৃত্যুর পেছনে অন্যতম কারণ ছিল সেখানকার সরু রাস্তা দিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দ্রুত পৌঁছাতে না পারা। বাস্তবতা হলো এ ঘটনার আট বছর পরেও এখনো ঢাকায় ভবন নির্মাণ হচ্ছে পর্যাপ্ত জায়গা না রেখেই। যা বাড়িয়ে দিচ্ছে ভূমিকম্পে অতিরিক্ত প্রাণহানির আশঙ্কা।

বিষয়টি দেখার কথা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। কিন্তু এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে চাইলে বেশ কয়েকবার অসম্মতি জানান সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:

এমসি/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজশাহী নগরীর নিউ মার্কেটের একটি দোকানে আগুন
ইরানে বিস্ফোরণ: মার্কিন গণমাধ্যম বলছে ইসরায়েল হামলা করেছে
ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউগিনি
X
Fresh