• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধননামা-১

কারো চালান নেই, কারো আলান নেই

সিয়াম সারোয়ার জামিল, আরটিভি অনলাইন

  ১৫ মার্চ ২০১৮, ১৪:১৩

নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে ৭৬টি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে আবেদনের প্রথম শর্ত হিসেবে ট্রেজারি চালানই জমা দেয়নি ১৪টি দল। যথাযথ কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর নেই ৫টি আবেদনপত্রে। বাকি দলগুলোর অধিকাংশই নিবন্ধনের শর্ত পূরণে পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেয়নি। অনেক দলই চূড়ান্ত গঠনতন্ত্র জমা দেয়নি। কেউ কেউ পূর্ণাঙ্গ কমিটি তালিকা দেয়নি; আবার কোনো কোনো দলের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিও রাখা হয়নি। পূর্ণাঙ্গভাবে মাত্র ৪-৫ টি দল প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করেছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নির্বাচন কমিশন আইন সংশোধন করে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়। পরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোরও প্রধান পদগুলোয় দলীয় ভিত্তিতে ও প্রতীক ব্যবহারের বিধান করা হয়। নিয়মানুযায়ী নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য গেলো বছরের ৩০ অক্টোবর জনবিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। সে বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে নির্ধারিত সময় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭৬টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেতে আবেদন করে।

সূত্র জানায়, আবেদনগুলো যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে গেলো বৃহস্পতিবার ও শনিবার কমিটি বৈঠকে বসে। বৈঠকে নিবন্ধন ফি, গঠনতন্ত্র ও আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা হয়েছে। দুই-একটি দল ছাড়া বাকিগুলো চাহিদা অনুযায়ী পরিপূর্ণ তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ১৪টি রাজনৈতিক দল আবেদনের সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকার নিবন্ধন ফি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দেয়নি।

বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট-বিডিএম দলটি প্রতীকই চায়নি। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ভাসানী ন্যাপের আবেদন অসম্পূর্ণ ও গঠনতন্ত্রের কপিও জমা দেয়নি। নির্ধারিত ফরমে আবেদনই করেনি সুশীল সামাজিক আন্দোলন-এসএসএ (শার্ট) নামের দলটি। বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি (কলম), বাংলাদেশ তৃণমূল কংগ্রেস (গমের ছড়া বা হাতপাঞ্জা) ও মৌলিক বাংলা (মাথাল)—এই ৩টি দলের আবেদনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সই দেয়া হয়নি।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে জানান, এবার বাছাইয়ে চার-পাঁচটি দলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া গেছে। যেসব দলের আবেদনে বড় ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেছে, কমিটির পক্ষ থেকে সে দলগুলোর আবেদন বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। বাকি দলগুলোকে সংশোধনের সুযোগ দিতে ১৫ দিন সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

তিনি জানান, বাছাই কমিটির প্রস্তাব কমিশন সভায় চূড়ান্ত করা হবে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন উপযোগী দলগুলোর কার্যালয় ও কমিটি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এসব দলের বিষয়ে দাবি-আপত্তি শেষে নিবন্ধন দেওয়া হবে। সেজন্যে আমাদের হয়তো আরও কিছু সময় লাগতে পারে বলেও মত দেন এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:

এসজে/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক
উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে সই লাগবে না ভোটারের, বাড়ল জামানত
‘ভারতের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব এখন নির্বাচন কমিশনের হাতে’
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নির্বাচন কমিশনের পুষ্পস্তবক অর্পণ
X
Fresh